বাগমারায় করোনায় একদিনে ২ জনের মৃত্যু- বাগমারা টাইমস
মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা:
রাজশাহীর বাগমারায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তির দশ মিনিটেই মারা গেলেন একজন নারী। অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে মারা গেলেন এক এনজিও কর্মকর্তা। এ নিয়ে একদিনে করোনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা হলেন ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সাদোপাড়া গ্রামের মুকুল হোসেন (৫৬) এবং শ্রীপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী রহিমা বেগম (৭০)। সোমবার সকালে তারা মারা যান।
জানা গেছে, সোমবার সকালে করোনার উপসর্গ নিয়ে শ্রীপুর গ্রামের রহিমা বেগমকে (৬৪) বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। করোনা পরীক্ষার আগে চিকিৎসা করা যাবে না বলে জানিয়ে হাসপাতালের বারান্দায় তাকে রাখা হয়। সকাল নয়টায় ল্যাব টেকনিশিয়ান হাসপাতালে আসলে বৃদ্ধার অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়। এরপরেই চিকিৎসকদের সামনে বৃদ্ধা ছটফটিয়ে মারা যায়। মারা যাওয়ার পর তাঁর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। স্বজনেরা অভিযোগ করেন, রহিমার শ্বাসকষ্ট ছিল। অক্সিজেনের প্রয়োজন থাকার পরেও হাসপাতাল থেকে এর ব্যবস্থা করা হয়নি এবং সেখানে চিকিৎসকদের চরম অবহেলা ছিল বলে অভিযোগ করে তারা বলেন, অক্সিজেনের অভাবে তাদের রোগি বারান্দায় অনেকক্ষণ ছটফট করছিল। আমরা অক্সিজেন দেওয়ার জন্য বারবার ডাক্তারদের অনুরোধ করলেও তারা কর্ণপাত করেনি।
অন্যদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সাদোপাড়া গ্রামে এনজিও কর্মকর্তা মুকুল হোসেন (৫৬) মারা যায়। তিনি রংপুরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
স্থানীয়রা জানান, লকডাউন ঘোষণার পর মুকুল বাড়িতে চলে আসে। করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়াতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করেন তিনি। এরপর পজিটিভ প্রতিবেদন আসে তার। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের পরামর্শে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন মুকুল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তিনি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে উপজেলায় করোনায় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও উপসর্গ নিয়ে আরও অনেকে মারা গেছেন। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে তিনজন চিকিৎসাধীন আছেন। এদের মধ্যে ২ জন পুরুষ এবং ১ জন নারী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী বলেন, মৃত্যুর পরেই রহিমা বেগমের করোনা পজিটিভ প্রতিবেদন আসে। তবে চিকিৎসকদের অবহেলার বিষয় সঠিক নয় আমরা তাকে বাঁচানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।