সর্বশেষ খবর

লকডাউনে নিম্নবিত্তের মাথায় হাত- বাগমারা টাইমস





নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসে বাংলাদেশ সহ সারা পৃথিবী এখন কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত মৃত্যুর মিছিল নেই থেমে। প্রতিদিন জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নে মৃত্যুর কোলে ভিজে যাচ্ছে হাজারো প্রাণ। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি বিধিনিষেধ মানতে বাংলাদেশে চলছে বিশেষ লকডাউন শেষে কঠোর লকডাউন।  কঠোর লকডাউন বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকারকৃত অটোরিকশা বাদে সকল যান্ত্রিক গাড়ি চলাচল বন্ধ জরুরি প্রয়োজনে বের হলে পুলিশের চেক পোস্টে সঠিক তথ্য  দিতে না পারলে হবে জেল জরিমানা। 


বাংলাদেশের জনসংখ্যা বহুল একটি দেশ যা ১.৪৭.৫৭০ কিলোমিটার মধ্যে ১৬ কোটির অধিক মানুষের বসবাস। রয়েছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ যা ধনী গরিব মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত সহ দিন আনে দিন খাই এমন মানুষ রয়েছে সারাদেশে। 


লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনে ধনীদের যদিও কোন সমস্যা হয়নি, তবে নিম্নবিত্তের মাথায় হাত পড়েছে কোভিড-১৯ কঠোর লকডাউন। দিন আনে দিন খাই এমন এমন মানুষ পড়ছে মহাবিপদে। এরমধ্যে মধ্যবিত্তদের যা ছিলো পুঁজি সেটুকু এখন শেষের পথে। 


বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজারে একজন রিক্সাচালক বলেন, সরকার দেওয়া বিধিনিষেধ মেনে চলতে গেলে মরতে হবে না খেয়ে। আমাদের খাবার দিয়ে লকডাউন দিক, আমরা রাস্তায় বের হবো না। 



তাহেরপুর বাজারের পান দোকানদার সাধু বলেন, আমি আমার দোকানে পান বিক্রি করে সংসার চলে। যদি এই লকডাউনে দোকান না চালাই পান যদি না বিক্রি হয় তাহলে বাড়ি হাড়িতে চাল জুড়বে না। আমাদের জন্য সরকারের কোন খাবার সামগ্রী পাই নাই আগে, এখনো, এখন লকডাউন চলছে তবুও মানুষ নাই যা হচ্ছে কষ্ট হলেও চলছি। আর যদি বন্ধ হয় তাহলে না খেয়ে দিন পার করতে হবে এই দোকানের ওপর সংসার চলে।



বাগমারা উপজেলা ঘুরে বিভিন্ন শ্রেণী পেশা মানুষের সাথে কথা বলে দেখা গিয়েছে কিছু মানুষ  রয়েছে দোকান, অটোরিকশা, ভ্যান, ইত্যাদির ওপর নির্ভরশীল সহ সংসার চলে। তাদের দাবি সরকার খাদ্য সামগ্রী দিয়ে লকডাউন দিন, আমরা নুন ভাত খেয়ে বাসায় থাকবো ভালো থাকবো তাছাড়া না খেয়ে করোনা আগে মৃত্যু হবে।