বাগমারার তাহেরপুরে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই হাট-বাজারে হাজার হাজার মানুষ- বাগমারা টাইমস
নাজিম হাসান বাগমারাঃ
ঈদের পর শুরু হওয়া লকডাউন বাস্তবায়নে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা এলাকায় তৎপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পুলিশ সদস্যরা। কিন্তু লকডাউনের (৮ম দিন) শুক্রবার (৩০ জুলাই) ভোর রাত থেকে বেলা ১১টা পযর্ন্ত তাহেরপুর পৌরসভার হাটে চিত্র দেখা গেছে, সড়ক ও হাটের ভেতর মানুষের চলাচল আগের চেয়ে বেড়েছে তিনগুন। কোথাও কোথাও তো দেখা গেছে চার্জার ভ্যান গাড়ীর কারনে যানজট লেগেছিল। এছাড়া একের পর এক ভটভটি ব্যাটারী চালিত ভ্যান, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের সংখ্যাও বেশি দেখা গেছে। ফলে মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে না। মানছে না স্বাস্থ্যবিধি, বজায় রাখছে না সামাজিক দূরত্ব।
শুক্রবার সকাল থেকে হাট-বাজারে অলি-গলিতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোড়ে অবস্থান নিয়েছিল তাহেরপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের সদস্যরা। এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষায় গত (২৩ জুলাই) নিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার কিন্তু রাজশাহী জেলার সর্ব বৃহতম তাহেরপুর পৌরসভার সাপ্তাহিক হাটবার শুক্রবার ও সোমবার ভোর রাত থেকে বসছে এবং এই হাটতে মাস্ক ছাড়াই হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়ে দেদারছে নিত্যপণ্যদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করছে।
এ হাট-বাজারে নিয়ন্ত্রণে বাগমারা উপজেলা প্রশাসনের নজরদারি নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের এবং ওই বিধিনিষেধ জেলা শহরে প্রভাব পড়লেও তাহেরপুর হাট-বাজারে কোনো প্রভাব নেই। হাট কামিটির পক্ষ থেকে শুধু মাত্র আনছার ভিডিপির কয়েকজন সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। তারা যানজোট নিরাসন না করে হাটে আসা বিভিন্ন যানবাহন রাস্তায় রাস্তায় আটকে রেখে চাঁদা তোলার কারনে আরো বেশী তারা যানজোট লেগেই থাকে। স্থানীয়রা ও হাটে আসা লোকজন আরো অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা প্রশাসনকে জানালেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এতে অনায়সেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই হাটে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়ে ক্রয়-বিক্রয় করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তাহেরপুর পুলিশ তদস্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল রাজ্জাক বলেন লোকজনদের স্বাস্থ্যবিধি, বজায় রাখার জন্য সকাল থেকে আমাদের একটি টহল গাড়ি মাইকিং করে যাচ্ছে। কিন্ত পুলিশের অবস্থানের ওপর চোখ রেখে বাজারের কয়েক হাজার দোকানের অধিকাংশই অর্ধেক সাটার খুলে ব্যবসা করছে। এছাড়া পুলিশ আসার খবরে দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আবার পুলিশ চলে গেলে দোকান খুলে ক্রয়–বিক্রয় করছেন এখানকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা।