বাগমারার ইউএনও সহযোগিতায় অবশেষে ঘর সংস্কারের টাকা ও টিন পেলেন বৃদ্ধা আতেজান বেওয়া
নাজিম হাসানঃ
নাম হলো তার আতেজান বেওয়ার, বয়স ৭৫ পেরিয়ে ৮০ বছরে ছুই-ছুই করছে। এ বয়সেও তার স্বপ্ন পূরন হলনা। জীবনের শেষ মহর্তে এসে নিজ বড়িতে স্বামীর রেখে যাওয়া কুঁড়েঘর সংস্কার করে সেখানে আপাতত নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারবেন বৃদ্ধা আতেজান বেওয়া।
উপজেলা প্রশাসন জরুরী ভিত্তিতে সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এজন্য গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন ঢেউটিন ও নগদ টাকা ও খাবার সহায়তা দিয়েছেন। এই প্রাপ্তিতে খুশি বৃদ্ধা আতেজান বেওয়া। তিনি ও গ্রামবাসীরা উপজেলা প্রশাসনের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বৃদ্ধা আতেজান বেওয়া রাজশাহীর বাগমারার বাসুপাড়া ইউনিয়নের কামনগর সোনারপাড়া গ্রামের মৃত জেহের আলীর স্ত্রী। গত কয়েক দিন ধরে জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় এক যুগ ধরে ঘর নেই বৃদ্ধা আতেজান বেওয়ার শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে তা উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ ব্যক্তিগত ভাবে খোঁজ খবর নেন। পরে তিনি বৃদ্ধা আতেজান বেওয়াকে স্থানীয় একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে নিজ দপ্তরে আমন্ত্রণ জানান।
এরই ফলে বৃহস্পতিবার দুপুরে বৃদ্ধাকে নিয়ে ওই গ্রামের আলাউদ্দিন নামের একজন অবসরপ্রাপ্ত বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য ইউএনওর দপ্তরে আসেন। এবং সেখানে তাঁকে আপ্যায়ন শেষে ঘর মেরামতের জন্য নগদ ছয় হাজার টাকা ও দুই বান্ডিল ঢেউটিন দেন। এছাড়াও দুই সপ্তাহের খাবার তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাঁর স্বপ্ন পূরণের জন্য পাকা ঘরের ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষে এসময় জানানো হয়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, সংবাদটি তাঁর নজরে আসার পর জরুরী ভিত্তিতে বৃদ্ধার মাথা গোঁজার জায়গা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাঁর জন্য পাকা ঘরের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য কামনগর সোনারপাড়া গ্রামের এই বৃদ্ধার স্বামী এক যুগ আগে মারা যাওয়ার পর তিনি এক প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন। মাথা গোঁজার একমাত্র জায়গাটিও বসবাসের অনুপযোগি হয়ে পড়ে।
ঘরের দেয়াল ও টিনের চালা ভেঙে যায়। ঝুঁকি নিয়ে তাঁর একমাত্র প্রতিবন্ধী ছেলে মাহাবুর রহমান (৪৫)কে সাথে নিয়ে বারান্দায় ঘুমাতে পারলেও অতিরিক্ত জায়গা না থাকায় বৃদ্ধা রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারেন না। সারাদিন বাড়িতে অবস্থানের পর রাতে গ্রামের এক ব্যাক্তির বাড়িতে ঘুমান।