বাগমারায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার- বাগমারা টাইমস
মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারাঃ
বাগমারায় দশম শ্রেণি পড়ুয়া একস্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো: লিটন (২৬) নামে এক বখাটে যুবককে গ্রেফতার করেছে বাগমারা থানার পুলিশ। লিটনের বাড়ি উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের চাঁইপাড়া সাদোপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে । এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে লিটনরে বিরুদ্ধে নারী শিশু ও পন্যোগ্রাফী আইনের পৃথক দুই ধারায় মামলা দায়ের করেছে। পরে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগামারা মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেলের ওয়ান স্টফ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) তে পাঠানো হয়েছে।
বাগমারা থানার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বখাটে লিটন বছর খানেক আগে একটি বিবাহ করেছিল। পরে তার অত্যাচারে ওই স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরে সে বাগমারা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তার সাথে দৈহিক ভাবে মেলামেশা চালাতে থাকে। কৌশলী লিটন ওই ছাত্রীর সাথে দৈহিক মেলামেশার বিষয়টি তার মোবাইলে ভিডিও ধারন করে। এ পর্যায়ে ওই ছাত্রীটি লিটনকে বিবাহের দাবী জানালে লিটন তাতে অস্বীকার করে এবং ছাত্রীকে ভয়ভীতি ও মারপিটের হুমকি দেয়।
পরে মোবাইলে ধারনকৃত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ছাত্রীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আবারও ধর্ষণ করে। এভাবে লিটন তার মোবাইলে ধারনকৃত দৈহিক সম্পর্কের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ছাত্রীটিকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করতে থাকে। সর্বশেষ ওই ছাত্রী লিটনের এমন কুপ্রস্তাবে সাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানালে লিটন তার মোবাইলে ধারনকৃত ভিডিও ছাত্রীটির বন্ধুমহল ও আত্মীয় স্বজনের মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন জানান, লিটন বখাটে প্রকৃতির ছেলে। এর আগে বিয়ে করে বউকে নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেয়। এবার সে ছাত্রীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তার বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন ধারা ৭/৯(১) এবং পন্যোগ্রাফী আইনের ৮/১(২,৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, রবিরার রাতেই মোবাইল ট্রাকিং করে নিজ বাড়ি থেকে লিটনকে গ্রেফতার করা হয় এবং সোমাবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরর করা হয়।
এছাড়া ভিকটিম ওই স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য সোমবার রাজশাহী মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার(ওসিসি)তে পাঠানো হয়েছে। বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, এমন নাক্কারজনক ঘটনায় লিটনের সাথে আর কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। পুরো ঘটনা আমরা নিবিড় ভাবে তদন্ত করে দেখছি।