বাগমারায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয় শুরু
স্টাফ রিপোর্টারঃ
নিজের খামারের ডিম বিক্রি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন রাজশাহীর বাগমারার পোল্ট্রি খামারি সাগর আহম্মেদ (৩০)। গত বছর করোনাকালে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়ে ছিলেন তিনি। সে আশংকা করেছিলেন এবারো। তবে সেটা কেটে গেছে এবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয়কেন্দ্রের কারণে। তাঁরা ন্যায্যদামে কিনে নিচ্ছেন ডিম।
শুধু সাগর আহম্মেদ নন, তাঁর মতো অনেক দুধ বিক্রেতাও এবার করোনাকালে চিন্তামুক্ত হয়েছেন।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভ্রাম্যমান দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রিকেন্দ্রের কারণে ক্রেতারাও রক্ষা পাচ্ছেন বাড়তি দাম থেকে। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় এই কার্যক্রম সাড়া ফেলেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, করোনাকালে লোকজনের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য ভ্রাম্যমান দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়। গত ১১ এপ্রিল উপজেলায় এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এরপর থেকে ট্রাক ও ইজিবাইকে করে শুরু হয় ন্যায্যদামে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে, হাটবাজার ও এলাকায় গিয়ে এসব বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিহালি লাল ডিম বিক্রি করা হচ্ছে ২৬ টাকায়। প্রতিলিটার দুধ ৬০ টাকায় এবং গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে ৫০০টাকা কেজি দরে। সকাল থেকে চলছে ভ্রাম্যমান বিক্রির কার্যক্রম।
সরেজমিনে ভবানীগঞ্জ, তাহেরপুর ও মচমইল এলাকা ঘুরে ভ্রাম্যমান দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করতে দেখা যায়। ট্রাক ও ইজিবাইকে করে বিক্রি করা হচ্ছে এসব। ক্রেতাদেরও ভীড় ও আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। গতকাল দুপুরে ভবানীগঞ্জ নিউমার্কেট এলাকায় ভ্রাম্যমান বিক্রিয়কেন্দ্রে ক্রেতাদের যথেষ্ট ভীড় চোখে পড়ে। স্বয়ং প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে ট্রাকে থেকে বিক্রি কার্যক্রম তদারকি ও সহায়তা করতে দেখা যায়।