সর্বশেষ খবর

বাগমারায় বোরোর বাম্পার ফলন ধান গোলায় তুলতে শ্রমিক সংকট দিশেহারা কৃষক






মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, স্টাফ রিপোর্টারঃ

গত বছরের তুলনায় বাগমারায় উপজেলায় এবার আগাম বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এবার বোরো ধানের ফলনও হয়েছে বাম্পার। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ সহযোগিতা, সময় মত বীজ বপন পরিচর্যা ও অনুকুল আবহাওয়া বজায় থাকায় এই ফলন সম্ভব হয়েছে বলে কৃষকদের অভিমত। বাম্পার ফলন কৃষক বেশ খুশি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও শ্রমিক সংকটর কারণ সময় মত ক্ষেতের ধান গোলায় তালা নিয়েছে কৃষক দুশ্চিত পড়ছে। 

স্থানীয় কৃষক ও উপজেলা অফিস সূত্র জানা গিয়েছে, চলতি ইরি বোরো মৌসুমে বাগমারায় সাড়ে উনিশ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হলেও চাষাবাদ হয়েছে বাইশ হাজার হেক্টর জমিতে।  এর মধ্য হাইব্রিড ব্রি-২৮, ব্রি-২৯ ও উপশী জাতের ধানের আবাদ হয়েছে বেশি। শুরুত ধান শীষ গজানোর সময় এই উপজলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী  ও বৃষ্টির তান্ডব কৃষক শুরুতই হোঁচট খায়। এর পর পাতাতে বোষ্টর মত কিছু পোকামাকড়ের আক্রমন দেখা দেয় ধানের ক্ষতি হয়েছে। পরে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ কৃষক এসব প্রতিকুল অবস্থান কাটিয়ে ওঠলেও এখন শ্রমিক সংকট ধান কাটা নিয়ে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। উপজেলা সর্বত্রই এখন তিন বেলা খাবার ও ৬০০ টাকা মজুরী দিয়েও প্রয়োজনীয় শ্রমিক পাওয়া দুরদায় হয়ে পড়েছে।


কৃষকদের মত বোরো ধানের  চাষাবাদ ও সেচ যা করণ হলেও এর কাটাই মাড়াই কাজ যা খরচ না হওয়ায় তাদের উৎপাদিত ধান বিক্রি করে তেমন কোন লাভ থাকছে না। এত অনেক কৃষকই ধান উৎপাদন আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। আবার অনেক লাভ বেশি হওয়ায়  কৃষক ধানী জমি গুলা মাছ চাষীদের লীজ  দিয়েছেন। ভবানীগঞ্জর কৃষক মোয়াজ উদ্দিন ও হবিবুর রহমান জানান, তারা গত বছরে ৬ থেকে ৮ একর জমিতে বোরো আবাদ করলেও এবার মাত্র ৪ একর জমিতে বোরো আবাদ করছেন। বোরো চাষ লাভের পরিমান কমতে থাকায় তারা মাছ ও পানি সহ অন্য আবাদ ঝুকিতে পড়েছে। প্রায় একই অভিমত ব্যক্ত করেন, হামিরকুৎসার কৃষক মুঞ্জুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম বলেন, পাশ্ববর্তী যশে বিল তারা এবারও তারা ৫ একর জমিতে বোরো আবাদ করছেন।


ধান গুলা পেকে  গেলে ও শ্রমিক সংকটের কারণ এখনও জমিতে নামতে পারেননি। তারা গত বছররে তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, গত বছরও এমন শ্রমিক সংকটর কারণ শেষে দিকে তারা কিছু ধান আর কাটতেই পারেননি। সবগুলা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। এইবারও ওই শ্রমিক সংকট পড়ছেন তারা। 


এসব বিষয় জানতে  চাইল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাজিবুর রহমান জানান, একই সময় সব জায়গায় ধান কাটাই মাড়াই শুরু হওয়ায় সাময়িক শ্রমিক সংকট দেখা দিতে পারে। তবে এখানে ধান কাটার ভরা মৌসুম বাহির জেলা থেকে অনেক শ্রমিক আগমন করে থাকে । দল দল ওইসব শ্রমিক এরি মধ্য আসতে শুরু করেছে। এসব শ্রমিক মাঠ নামলে পাড়লে তখন আর শ্রমিক সংকট থাকবে না।