সর্বশেষ খবর

ছোট ভাইয়ের ঘুড়ি বানানো দেখে স্মৃতিময় কিছু কথা মিজানের

 





নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ছোট ভাইয়ের ঘুড়ি বানানো দেখে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই সময় যে সময় ছিলনা এতটা অনিয়ম, ছিল সততা আর সমাজের মানুষ মধ্যে ছিল একতা, ছিল বসবাসে সুব্যবস্থা ও ভাতৃত্ববোধ সম্পর্ক।  সেই সময় ছিলনা কোন অনিয়ম, বর্তমানে সমাজ ব্যবস্থা যত ডিজিটাল হচ্ছে অপরাধ ও অপরাধের শিকার বা ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। 



শৈশবকালে এই সময় নানা রকম ঘুড়ি উড়াইতাম আকাশে নানা রকম মানুষের সাথে, বিকেল হলে ঘুড়ি নিয়ে গ্রামের শস্য শ্যামশা-সুজলা সুফলা অথবা বিলে মুক্ত বিহঙ্গে ঘুড়ি উড়িয়ে দিয়ে বসে বসে সুতা ছাড়তাম।  



কার ঘুড়ি কত দূর উচ্চতায় উঠতে পারে এই নিয়ে সন্ধ্যা নেমে আসতো তবুও থামিয়ে রাখতে পারেনি পরিবারের সদস্য, কখনো কখনো রাতের বেলাও ঘুড়ি উড়িয়ে দিয়ে সুতা বেঁধে রাখতাম আম গাছে ডালে, মাঝে মাঝে রুম থেকে বের হয়ে দেখতাম ঘুড়ি কেমন আছে। ঘুড়ির মধ্যে কুয়ারা ঘুড়ি অনেক বেশি প্রিয় ছিলো আমার, কুয়ারা মাথায় দেওয়া থাকতো দোলনার তার আর ব্যবহারে হতো অনাবিল শব্দ। আমরা একেঅপরে বলতাম কুয়ারা ডাকছে কার এবং কুয়ারা কত উচ্চতে ডাকতে পারে সেই বিষয়ে নিয়ে সমালোচনা-আলোচনা পাশাপাশি আলোচনায় মেতে উঠতাম কে কি ঘুড়ি তৈরি করতে পারে এমন  বিষয় নিয়ে সারাদিন কাটতো দুরন্তপনায়।



কখনো এমন দিন ছিলো যে সকালে খাই নাই দুপুর হয়ে এসেছে আবার দুপুর হয়ে বিকাল গড়িয়ে যায় যেন পাগলের মতো ঘুড়ি উড়াইতাম। আমার ঘুড়ির একমাত্র আমার দাদু তার নিজ হাতে তৈরি করে দিতো যা অনেক বেশি ভালো উড়তো যার মধ্যে প্রশংসনীয় ছিল কুয়ারা ঘুড়ি গুলো। 


পরিশেষে বলতে পারি সময়ের সাথে হারিয়ে যাচ্ছে কিশোর শৈশব কালের সকল স্মৃতি অধ্যায়,  ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রাম থেকে সৃষ্টি হয়েছে একাধিক সমাজ সৃষ্টি হয়েছে কালের পরিবর্তনে সময়ের ব্যবধানে। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ