সর্বশেষ খবর

বাগমারা বেলঘরিয়া পাবলিতে দুর্বৃত্তদের দেওয়া বিষে তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি- বাগমারা টাইমস






সাজু মাহমুদ বাগমারা প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর বাগমারার আউচপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বেলঘরিয়া হাট গ্রামের পোস্ট অফিসের নিচে সোমবার অনুমানিক রাত এগারো ঘটিকায় কীটনাশক বিষ প্রয়োগে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। এতে এলাকাজুড়ে শোকের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।


ঘটনা সূত্রে জানাজাই,অত্র গ্রামের একজন আম কুড়াতে যাওয়ার পথে মাছ লাফালাফি করছে বলে তার ছেলে ক্লাবের সদস্য হওয়ায় ফোন করে বলে,পরবর্তীতে দেখা যায়,দুর্বৃত্তরা পাবলিতে বিষ প্রয়োগ করেছে।


বেলঘরিয়াহাট গ্রামের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ সহ (বিশেষ করে যুবসমাজ ও ছাত্র বন্ধুদের) উন্নয়নের কথা ভেবে, বেলঘরিয়াহাট ইয়াংস্টার ক্লাবের সকল সদস্য বিন্দুদের নিয়ে গত চার মাস আগে বেশ মোটা অংকের টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাবলিতে  ছাড়া হয়েছিল, দুর্বৃত্তর দেওয়া বিষ প্রয়োগে, হাজারো নতুন উদ্যোক্তার মন মানুষিকতা ভেঙ্গে গেছে। 



ইয়াংস্টার ক্লাবের তরুন এক উদ্যোক্তা বলেন শান্তির বাগমারায় কেনো আমরা অশান্তির আগুনে কেনো জ্বালানী কাঠের মত জ্বলবো,আমরা চাই স্বাধিনতা যেখানে স্বাধিন দেশে স্বাধিন মত বাঁচতে পারবো,স্বাধিন ভাবে জিবিকা উপার্জন করতে পারবো, কেনো আমাদের সপ্ন ভেঙ্গে যাবে। আমারা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।


বেলঘরিয়াহাট ইয়াংস্টার ক্লাবের সকল সদস্য বিন্দু বাগমারা উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন

রাজশাহীসহ ৭ জেলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরও লকডাউনের সুপারিশ-বাগমারা টাইমস





নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

করোনা সংক্রমণ রোধে সীমান্তবর্তী সাত জেলায় কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার (৩১ মে) এ সুপারিশ করেছে তারা।


এর আগে সীমান্তবর্তী ওই সাত জেলাকে লকডাউনের মধ্যে আনতে সুপারিশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি। এ বিষয়ে যে কোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানা গেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র।


লকডাউনের আওতায় আসতে পারে এমন সাত জেলা হলো- নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনা। এছাড়া নোয়াখালী ও কক্সবাজারের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি।


করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত সোমবার (২৪ মে) রাত থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এক সপ্তাহের লকডাউন দেওয়া হয়েছে। যা এখনো চলছে।


এদিকে দেশে করোনার নতুন হটস্পট চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ঈদুল ফিতরের পর থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। জেলা সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৭২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬০০–এর মতো শনাক্ত হয়েছে গত ঈদের পর থেকে। ঈদের আগে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ১৪ শতাংশ, সেখানে কয়েক দিনের মধ্যে বাড়তে বাড়তে ২৬ মে ৫৫ শতাংশ এবং তারপর ৬২ শতাংশে উঠেছিল। তবে পরে একটু কমেছে।


গত শনিবার ৬২১টি নমুনা পরীক্ষায় ১৬১ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।


সিভিল সার্জন জানান, এ জেলায় এখন ৫৭৬ জন করোনা রোগী আছেন। এদের মধ্যে জেলার তিন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২২ জন। জেলা সদর হাসপাতালে ১৯ জন, শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুজন এবং গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন চিকিৎসাধীন আছেন। এর বাইরে সদর হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ১৬ জন। এছাড়াও অনেক রোগী বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।


জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭ জন মারা গেছেন গত ১৩ মে থেকে। গত শুক্রবার চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

বাগমারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ড কাপ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত-বাগমারা টাইমস






নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন বাসুপাড়া ইউপি

রাজশাহী বাগমারা উপজেলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭) আয়োজন করে বাগমারা উপজেলা প্রশাসন। গত (২৯ মে) সকাল ১১ টায় ৫৫, রাজশাহী-৪ বাগমারা সংসদ সদস্য ইঞ্জিঃ এনামুল হক এমপি আনুষ্ঠানিক ভাবে খেলার শুভ উদ্বোধন করেন। (অনূর্ধ্ব-১৭) ১৬ টি ইউনিয়ন ও ২ টি মোট ১৮ টি দলের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের খেলা হয় এবং আজ সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। 

সন্ধার আগ মুহুর্তে অনুষ্ঠিত হয় ফাইনাল খেলা শ্রীপুর ইউনিয়নকে পেলান্টি ০২ গোলের মাধ্যমে হারিয়ে জয়ী টফি জিতে নেন বাসুপাড়া  ইউনিয়ন। বিকাল ছয়টায় চ্যাম্পিয়নদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ বিতরণ করা হয় এমপি এনামুল হকের উপহার টফি, নগদ অর্থ ও সম্মাননা ও চ্যাম্পিয়ন টফি।




এই সময় উপস্থিত ছিলেন বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ সহ বিভিন্ন নেতাকর্মীবৃন্দ। 


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭) রেফারি দায়িত্বে ছিলেন পুরো টুনামেন্ট জুড়ে রফিকুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক উপজেলা ক্রীড়া বাংলাদেশ ফেডারেশন। মনোমুগ্ধকর ধারাভাষ্যক ছিলেন নজরুল ইসলাম সহ আরো অনেকেই।

বাগমারায় গৃহবধূকে পিটিয়ে-গলাটিপে হত্যা 'স্বামী পলাতক-বাগমারা টাইমস

 






নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

রাজশাহীর বাগমারার পাইকপাড়া গ্রামে গৃহবধূকে পাষান্ড স্বামী পিটিয়ে ও গলাটিপে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ওই গৃহবধূর নাম কল্পনা বেগম (৩২)।

পুলিশ রোববার সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাচ্চু রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এদিকে ঘটনা পর পরই স্বামী আসমান আলী (৫০) স্ত্রীর মরদেহ রেখে পলাতক রয়েছেন।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের মোহাম্মাদপুর গ্রামের আহম্মাদ আলীর মেয়ে কল্পনার বছর ছয়েক আগে বিয়ে হয় একই এলাকা শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের  আসমান আলীর সাথে। বিয়ের এক বছর পর থেকেই গৃহবধূকে অত্যাচার করত বলে গৃহবধূর আত্মীস্বজনরা জানান। দাম্পত্য কলহের জের ধরেই কল্পনার স্বামী আসমান আলী শনিবার রাতে উপর্যুপরি পরিমান মারপিট ও গলাটিপে হত্যা করে বলে তারা দাবি করেন।

স্থানীয় প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সকালে ওই বাড়িরে কাউকে না দেখে উৎসাহী প্রতিবেশীরা বাড়ির ভিতরে যায়। সেখানে গৃহবধূ কল্পনার লাশ দেখে থানায় খবর দেয়। পুলিশ রোববার সকাল ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে।


নিহতের মা রাহেলা জানান, আমার মেয়েকে মাথা, হাত ও পায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পরে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। এর পূর্বেও তার ওপর মাঝে মাঝে স্বামী নির্যাতন করতো। এ ঘটনার এক বছর পরই আবারো পরিকল্পনা করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এই ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ জানান, গৃহবধূর মাথায়, হাত ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত গৃহবধূর লাশ সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তত করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে শরীরে নির্যাতনের চি‎হ্নি‎ দেখে মনে হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আসমান আলী পরাতক রয়েছে বলে জানান তিনি।

শ্রীপুর ইউপি' দাউদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরের উদ্বোধন-বাগমারা টাইমস




নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের দাউদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় দাউদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি নির্মান করা হচ্ছে। ৬৩ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে ভবনটির নির্মান কাজ বাস্তবায়ন করছেন উপজেলা এলজিইডি।


রবিবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরের শুভ উদ্বোধন করেন বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার।


এই সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন, হিসাবরক্ষক সিদ্দিকুর রহমান, সহকারী শিক্ষা অফিসার খলিলুর রহমান, রেজাউল কামাল মোহাম্মদ ফারুক, দাউদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজাদ রহমান, শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক জিল্লুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা ময়েজ উদ্দীন, ঠিকাদার আহাদ আলী, মাওয়ালা বজলুর রহমান, মাস্টার মজিবুর রহমান সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বিদ্যালয়টির নির্মান কাজ শেষ হলে সুন্দর ভাবে লেখাপড়া করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

জিয়াউর রহমানের ৪০'তম শাহাদতবার্ষিকী আজ






অনলাইন ডেক্সঃ

আজ ৩০ মে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে তিনি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে অতুলনীয় ভূমিকার কারণে ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছেন শহীদ জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালের উত্তাল মার্চে তার আহ্বান জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার সাহস জুগিয়েছে। একইসাথে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য হানাদারদের বিরুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে জিয়াউর রহমান ‘শহীদ জিয়া’ হিসেবেই পরিচিত। শোকাবহ এই দিনটির স্মরণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মিলাদ মাহফিল, ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণসহ ১৫ দিনের কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। জাতি আজ তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।


জিয়াউর রহমান ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার : শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। তিনিই জাতির সঙ্কটময় মুহূর্তে বারবার দাঁড়িয়েছেন নির্ভয়ে, মাথা উঁচু করে। বিপর্যস্ত জাতিকে রক্ষা করেছেন সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর অস্থিতিশীল ও অনিশ্চিত এক পরিস্থিতি থেকে দেশ মুক্তি পায় ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে। আর এই বিপ্লবের প্রাণপুরুষ ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। নিশ্চিত করেন বাক-ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কালজয়ী দর্শনের বক্তা জিয়াউর রহমান জাতির নিজস্ব পরিচয় তুলে ধরেন। তার অন্যতম উপহার বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের পতাকাবাহী রাজনৈতিক দল ‘বিএনপি’। তার শাহাদতের পর সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া দলের হাল ধরেন। তার প্রতিষ্ঠিত দল তিনবার জনগণের ভোটে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পায়।নয়া দিগন্ত

বাগমারার আউচপাড়া ইউনিয়নের খালগ্রাম বাজার জামে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেন এমপি এনামুল





আশিক ইসলাম স্টাফ রিপোর্টারঃ

গত, শনিবার (২৯ মে) বেলা ১১.৩০ মিনিটে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের খালগ্রাম বাজার জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ইঞ্জিঃ মোঃ এনামুল হক। 


এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিঃ মোঃ এনামুল হক বলেন, বাগমারায় কোন মসজিদ অচল অবস্থায় পড়ে থাকবে না। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তিনি আরও উন্নয়ন করতে চান। এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।


এলাকাবাসী বলেন এই মসজিদটি ছোট ছিল। বাজারে গেলে ঠিকমতো নামাজ পড়ার যায়গা পাওয়া যেত না, এখন এই মসজিদটি হওয়াতে বাজারের সকল মুসল্লি নামাজ পড়ার সুযোগ পাবে। এই মসজিদটি হওয়াতে তারা সবাই খুশি।




অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার আবুল, আউচপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মাদ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এর নেতাকর্মীবৃন্দ।

গোয়ালকান্দি ইউপিঃ তে ২০২১-২০২২ইং অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত|বাগমারা-টাইমস



 নিজস্ব প্রতিনিধিঃ 

৩০ মে, রবিবার রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার ১৩নং  গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

দুপুর ১২টায় গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠান এর আয়োজক ছিল ১৩নং গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ।

গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠান এর কারিগরি সহযোগিতায় ছিল কার্যকর ও জবাবদিহিমুলক স্থানীয় সরকার (ইএএলজি) প্রকল্প।

গোয়ালকান্দি ইউপির উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন  ২০২১-২০২২ ইং অর্থ বছরের  জন্য বাজেটে আয় ধরা হয়েছে ১৭০০৬২২১ টাকা, ২০২১-২০২২ ইং অর্থ বছরে ব্যয়  ১৫২৪৮৫২১ ধরা হয়েছে টাকা, 

সার্বিক বাজেটে উদ্বৃত্ত রাখা হয়েছে ১৭৫৭৭০০টাকা।

গোয়ালকান্দি ইউপির উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন ৫৫,রাজশাহী-৪(বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিঃ এনামুল হক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শরিফ আহম্মেদ।


অতিথি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার।

গোয়ালকান্দি ইউপির উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠান এর সভাপতি গোয়ালকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর সরকার  গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের ২০২১-২০২২ইং অর্থবছরের উন্মুক্ত বাজেট সকলের উদ্দেশ্য পড়ে শুনান এবং 

তিনি বলেন, আমি গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন জন্য কাজ করে যাচ্ছি ও আগামীতেও করে যাব- ইনশাহআল্লাহ।



উপস্থিত ছিলেন ইউপি সচিব আব্দুল বারিক, ইউপি হিসাব সহকারি ও কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ শাহীন আলম।

উপস্থিত ছিলেন সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ ও গ্রাম-পুলিশসহ

অত্র ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে বাগমারায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ-বাগমারা টাইমস





নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

১লা জুনের মধ্যে সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ভবানীগঞ্জ এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।


সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোপালগঞ্জ) ছাত্র মোহাম্মাদ আলী তোহা'র সভাপতিত্বে এবং সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান, সরকারি ভবানীগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম ও জনি। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাহাদী বিন মুকুল সহ প্রমুখ




এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জোর দাবি জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।

উক্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রী এবং ইউজিসির সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ১লা জুনের মধ্যে সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান। এছাড়াও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি ঢাবি ভিসির বিরূপ মন্তব্যকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এক শূন্য গোলে ভবানীগঞ্জ পৌরকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীপুর ইউনিয়ন







নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা টাইমসঃ

বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) শিরোপা লড়াইয়ে ২টি (দুই) গ্রুপ, যথাক্রমে ক- গ্রুপে ৮টি দল এবং খ- গ্রুপে ১০টি দলের অংশ হিসেবে ভবানীগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রবিবার (৩০ মে) শ্রীপুর ইউনিয়ন দুপুর সাড়ে তিনটায় ১ম সেমিফাইনালে ভবানীগঞ্জ পৌরসভা টিমকে- ( ভবানীগঞ্জ-০) ১ গোলে হারিয়ে ফাইনাল খেলার যোগ্যত্যা অর্জন করে শ্রীপুর ইউনিয়ন। 

 




উল্লেখ্য, গত (২৯ মে) সকাল সাড়ে দশটায় বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ এর প্রতিনিধিত্বে উপজেলা সহকারী (ভূমি) কমিশনার মাহমুদুল হাসান এর সভাপতিত্বে খেলাটির শুভ উদ্বোধন করেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিঃ মোঃ এনামুল হক।

বাগমারায় তিনটি স্কুলের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরের উদ্বোধন করলেন এমপি এনামুল হক






মাহফুজুর রহমান প্রিন্স স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ সরকারী বালক এবং বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয়তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরের উদ্বোধন করা হয়েছে। 


শনিবার (২৯ মে) সকাল ১০ টায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। 


নির্বাচিত বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই দুটি বিদ্যালয়ের একাডেমির ছয়তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের ভবনটি নির্মাণ করেছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। 


এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, সহকারি কমিশনার (ভুমি) মাহমুদুল হাসান, বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার আবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন সরুজ, উপজেলা প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন, ভবানীগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ হাতেম আলী, ভবানীগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম, ভবানীগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফিরোরুজ্জামান, ভবানীগঞ্জ সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা খানম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবী সহ প্রমুখ। 


ছয়তলা একাডমিক ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে শিক্ষার্থীরা সুন্দর ভাবে লেখাপড়া করতে পারবে, সংকট হবেনা শ্রেণী কক্ষের। 


এছাড়াও চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ভবানীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এমপি এনামুল হক। ৬৮ লাখের অধিক টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ বাস্তাবায়ন করছেন এলজিইডি বাগমারা। অপরদিকে উপজেলার হাট-খালগ্রাম বাজারে চারতলা বিশিষ্ট নতুন জাম মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তরের উদ্বোধন করা হয়েছে।।

তাহেরপুর পৌর সাবেক মেয়র ও মেয়র কালামের সহধর্মিণী রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল




নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

তাহেরপুর পৌর ছাত্রলীগের উদ্যোগে মেয়র আবুল কালাম আজাদের সহধর্মিণী, সাবেক চেয়ারম্যান ও তাহেরপুর পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ আলো খন্দকার এর সুযোগ্য উওরসূরী ৬ নং ওয়ার্ড এর কৃতি সন্তান খন্দকার সায়লা পারভিনের রোগমুক্তি কামনায় বিশুপাড়া জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া, মোনাজাত ও তবারক বিতরণ করা হয়।

এ আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেন জাহিদুল খান শোভন, আব্দুল্লাহ আল কাফি, রবিউল ইসলাম, শুভ্র, আলামিন, ফিরোজ সহ প্রমূখ।



তাহেরপুর পৌর তারুণ্যের দলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন-বাগমারা টাইমস





নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

রাজশাহী বাগমারা তাহেরপুর পৌরসভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তারুণ্যের দলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদিত হয়।


মোঃরাসেল ফরাসি কে আহ্বায়ক ও মোঃ সাব্বির আহমেদ লিংকন কে সদস্য সচিব করে রাজশাহী জেলা তারুণ্যের দলের সভাপতি।


মোঃ মোস্তাক আহমেদ ছোট্ট, সাধারণ সম্পাদক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম শরিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রইচ আহমেদ স্বাক্ষরিত ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

উক্ত কমিটিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তাহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও সাবেক পৌর বিএনপির সভাপতি আ ন ম সামসুর রহমান (মিন্টু) ।

বাগমারায় ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’ বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) শুভ উদ্বোধন-বাগমারা টাইমস







আশিক ইসলাম স্টাফ রিপোর্টারঃ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) রাজশাহী বাগমারা উপজেলা' ভবানীগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। 


শনিবার (২৯ মে) সকাল সাড়ে দশটায় বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ এর প্রতিনিধিত্বে উপজেলা সহকারী (ভূমি) কমিশনার মাহমুদুল হাসান এর সভাপতিত্বে খেলাটির শুভ উদ্বোধন করেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিঃ মোঃ এনামুল হক।


বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাগমারা উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার,

ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক মন্ডল, বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহমেদ।




এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অধ্যক্ষ গোলাম সারোওয়ার আবুল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ সহ অত্র উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান জাতীয়  গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭) শিরোপা লড়াইয়ে অংশ নেন ২ (দুই) গ্রুপ। যথাক্রমে ক- গ্রুপে ৮টি দল এবং খ- গ্রুপে ১০টি দল।


ক- গ্রুপের দলগুলো হলো- বড়বিহানালী, যোগীপাড়া, আউচপাড়া, শ্রীপুর, ভবানীগঞ্জ পৌরসভা, গোয়ালকান্দি, হামিরকুৎসা, কাচারি কোয়ালিপাড়া। খ- গ্রুপে রয়েছে- 

শুভডাঙ্গা, নরদাশ, বাসুপাড়া, গোবিন্দপাড়া, ঝিকড়া, সোনাডাঙ্গা, তাহেরপুর পৌরসভা, দ্বীপপুর, গণিপুর, মাড়িয়া। উক্ত আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেন বাগমারা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা।

রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হলো আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস-বাগমারা টাইমস

 




মোঃ রকিবুজ্জামান রকি নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আজ শনিবার (২৯ মে) আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।


সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়। এ দিবস উপলক্ষে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের আয়োজনে রাজশাহী কলেজ প্রাঙ্গনে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপিত হলো আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস ২০২১।


শান্তিরক্ষী দিবস ২০২১ এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “The Road to a Lasting Peace-Leveraging the Power of Youth For Peace and Security” অর্থাৎ স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে যুবশক্তির ব্যবহার সুনিশ্চিত করা।


রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মানিত পুলিশ কমিশনার মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক মহোদয়ের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব খন্দকার গোলাম ফারুক, বিপিএম (বার), পিপিএম, প্রিন্সিপাল (এ্যাডিশনাল আইজি), বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী, সারদা, রাজশাহী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব জয়দেব কুমার ভদ্র, বিপিএম, এ্যাডিশনাল ডিআইজি, রাজশাহী রেঞ্জ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ছাড়াও সেনাবাহিনী এবং র‌্যাবের প্রতিনিধি দল অংশ গ্রহন করে।


রাজশাহী কলেজ প্রাঙ্গনে বেলুন ফেস্টুন ও কবুতর অবমুক্তকরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আত্মত্যাগকারী বীরদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। 


অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোতসর্গকারী বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের মূল কার্যক্রম গুলো তুলে ধরেন। সেই সাথে তিনি বাংলাদেশের সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশসহ বিভিন্ন বেসামরিক প্রতিষ্ঠানের শান্তি কার্যক্রমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের কথা তুলে ধরেন। 




অনুষ্ঠানের সভাপতি পুলিশ কমিশনার মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক মহোদয় তার বক্তব্যে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর গৌরবগাথা ভুমিকা সহ বিভিন্ন দিক উল্লেখ করেন। সেই সাথে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণকারী পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটসহ সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও মিডিয়াকর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।


অনুষ্ঠান শেষে সভাপতি মহোদয় প্রধান অতিথিকে সম্মাননা ক্রেস্ট উপহার দেন।


উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত মোঃ সুজায়েত ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন),  মোঃ মজিদ আলী বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন), রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ, টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম, অ্যাডিশনাল ডিআইজি (অপারেশন্স অ্যান্ড ক্রাইম), রাজশাহী রেঞ্জ, প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত), রাজশাহী কলেজ, লেঃ কর্ণেল মোঃ জিয়াউর রহমান তালুকদার পিএসসি, সিগস্, অধিনায়ক, র‌্যাব এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৫, রাজশাহী, এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার), পুলিশ সুপার, রাজশাহী এবং সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি মেজর মোঃ আহসান হাবিব সহ রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ

বাগমারায় আর্শিবাদের জলকপাট এখন অভিশাপ! বর্ষা কালের আগেই মেরামতের দাবী স্থানীয়দের






মাহফুজুর রহমান প্রিন্স স্টাফ রিপোর্টারঃ

বন্যা নিয়ন্ত্রণে ও ফসল রক্ষায় রাজশাহীর বাগমারার কুচিয়ামারা খালের মুখে নির্মাণ করা জলকপাটটি এখন আর্শিবাদের পরিবর্তে হুমকী হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলকপাটের কপাট ভাঙা থাকায় কৃষক ও চাষীরা আতঙ্কে রয়েছেন। বর্ষার আগে জলকপাটটি মেরামত করা না হলে আবারো শতকাটি টাকার ফসল ও বাড়িঘর ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।


জলকপাটটি মেরামতের দাবি জানিয়ে এলাকার চারশতাধিক কৃষক পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত করেছেন। তবে এখনও সাড়া না মেলায় কৃষকদের আতঙ্ক কাটেনি। 


সাইপাড়া-ভবানীগঞ্জ সড়কের বাগমারার গণিপুর ও বাসুপাড়া ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় কুচুয়ামারা খালের মুখে জলকপাটটি স্থাপন করা হয়। ফকিন্নি নদী থেকে খাল দিয়ে পানি সোনাবিলাসহ কয়েকটি বিলে প্রবেশ করে ও বেরিয়ে যায়। বন্যা নিয়ন্ত্রণ, ফসল রক্ষা ও চাষাবাদের সুবিধার জন্য পানি উন্নয়নবোর্ড জলকপাটটি নির্মাণ করে। এটি নির্মাণের ফলে বাসুপাড়া ও গণিপুর ইউনিয়নের সোনাবিলা, সোরাবিলাসহ কয়েকটি বিলের চাষাবাদে সুফল মেলে ও বন্যায় ফসল রক্ষা পায়। এছাড়াও চাষের সুবিধার জন্য খালে পানি ধরে রাখাও সম্ভব হয় জলকপাটের কারণে। দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার কৃষক এই জলকপাটের সুফল ভোগ করে আসছেন। 

অপরদিকে, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় জলকপাটের কপাট নষ্ট হয়ে গেছে। ভেঙ্গে  যাওয়ার পাশাপাশি কপাটগুলা অকেজো হয়ে পড়েছে।  শুক্রবার (২৮ মে) সকালে সরেজমিনে গিয়ে জলকপাটটি  ভেঙ্গে  যাওয়া অবস্থা দেখা যায়। কপাটের উভয় পাশে টিনের পাত দিয়ে আটকানো রয়েছে। স্থানীয় লোকজনের উদ্যাগে টিনের পাত দিয়ে আটকিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে।


স্থানীয় কৃষকেরা জানান, জলকপাটটি নষ্ট হওয়ার কারণ গেলো বন্যায় (২০২০ সাল) সোনাবিল, সোরাবিলা ও তার আশেপাশের কৃষকেরা ক্ষতির শিকার হন। কপাট নষ্ট থাকার কারণে সহজে নদী থেকে বন্যার পানি বিলে প্রবেশ করে। বন্যা প্রবেশের কারণে মাছ, পানবরজ, ধান, সবজি ও ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়। স্থানীয় কৃষকদের ভাষ্যমতে, জলকপাট নষ্ট থাকায় গত বছরের বন্যায় প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। 




বাগমারা গ্রামের পানচাষি মজনুর রহমান জানান, জলকপাট নষ্ট থাকার কারণে গত বছরে বন্যার পানি বিলে ঢুকে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানবরজসহ তাঁর প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

গণিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান বলেন, জলকপাটটি নষ্ট হয়ে যাওয়াতে গত বছরের বন্যায় কপাট দিয়ে সরাসরি পানি বিলে প্রবেশ করে তাহির একডালা, বাগমারা, মাঝিগ্রাম, লাউপাড়া, শেখপাড়া, মোহাম্মদপুর, বালানগর, পোড়াকয়া, মাধবডাঙ্গাসহ কয়েকটি গ্রামের ফসলরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শত শত কৃষক নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। জরুরী ভিত্তিতে জলকপাটটি সংস্কাররে দাবি জানান। 


স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুস সোবহান মন্ডল জানান, জলকপাটটি আর্শিবাদের পরিবর্তন এখন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষার আগে সংস্কার করা না হলে অনেক চাষি হয়তো ধানচাষ করবেন না। 



এদিকে বর্ষাকাল শুরুর আগে কৃষকদের মধ্যে জলকপাট নিয়ে আবারও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয় চারশতাধিক কৃষক এটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড  রাজশাহী বিভাগের নির্বাহী প্রকোশলীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন। স্থানীয় সাংসদ এনামুল হকের সুপারিশসহ আবদনপত্রটি গত মার্চ মাসে বিভিন্ন দপ্তরে পৌঁছানো হয়। তবে এখন পযর্ন্ত কোন সাড়া মেলেনি। নিরুপায় হয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৭ মে ) কৃষকেরা স্থানীয় প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি জানান। তাঁরা এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন। কৃষকরা বলেন, বর্ষার আগে এটি সংস্কার করা না হলে আবারও ব্যাপক ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। সরকারি ভাবে সংস্কার করা না হলেও নিজেদের টাকায় তা ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে এজন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি চেয়েছেন। 


উপজলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুর রহমান বলেন, জলকপাটটি নষ্ট থাকায় ওই এলাকার কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্ষার আগে জলকপাটটি সংস্কার করা হলে চাষিরা কিছুটা আতঙ্কমুক্ত থাকতে ও নির্বিঘ্নে চাষাবাদ করতে পারবেন। জলকপাটটি সংস্কাররে জন্য উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় একাধিকারবার আলোচনা হয়েছে। পাউবো এটি দ্রুত সংস্কার করা দরকার বলে মতামত দেন। 



এই বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজশাহী বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কল রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন জানান, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জলকপাট সংস্কারের বিষয়টি বগুড়া মেকানিক্যাল দপ্তর দেখভাল করে। আবেদনপত্রটি সেখানে পাঠানো হয়েছে। তারা এই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।

বিহানালী হরিণমারা গ্রামের এলাকাবাসীর নিজ উদ্যোগে রাস্তা মেরামত|বাগমারা-টাইমস

 




নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রাজশাহী বাগমারা উপজেলা  বড় বিহানালী ইউনিয়ন হরিণমারা গ্রামের ১ কিলোমিটার  মাটির রাস্তা দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ার চলাচলের অনুপমযোগী হয়ে ওঠেছে। সামান্য বৃষ্টি তে কাদামাটিতে চলাচলের  বাধাগ্রস্ত হয় এলাকায় মানুষের এর সাথে সাথে  মালামাল নিয়ে যেতেও চায় না গাড়ি গুলো। 



রাস্তার অবস্থা অবনতি র ফলে গ্রামের মানুষের মাঝে রাস্তার সংস্কারের উদ্যোগ নেন  এরশাদ আলি সহ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ  সেই লক্ষে আজ বড় বিহানালী হরিণমারা গ্রামের সবাই একএে হয়ে দীর্ঘ এক কিলোমিটারে মতো রাস্তা ভাটা হতে ইট আনিয়ে আজ সকাল ৭টার পর থেকে শুরু হয় রাস্তা মেরামতের কাজ দীর্ঘ সময় পর রাস্তাটি সংস্কার কাজ শেষ করেন হরিণমারা গ্রামের সাধারণ মানুষ। 


এইসময় উপস্থিত ছিলেন উক্ত ওর্যাড আওয়ামীলীগের  সাধারণ সম্পাদক লিটন  রাস্তা কাজের উদ্যোগতা মোঃ এরশাদ আলী গ্রামের সাধারণ মানুষ।

বাগমারায় সংগ্রামী দলের নতুন কমিটির অনুমোদন-বাগমারা-টাইমস



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাগমারায় জাতীয়বাদী সংগ্রামী দলের নতুন কমিটির অনুমোদন।

বাগমারায় জাতীয়বাদী সংগ্রামী দলের নতুন কমিটির অনুমোদন দিয়েছে 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দল কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ মোতাবেক রাজশাহী জেলার  বাগমারার উপজেলায় নতুন কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। রাজশাহী জেলা সংগ্রামী দলের সভাপতি মওদুদ আহমেদ মধু ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান হিমেল এর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


এতে বলা হয়, খোকন হাসান (গনিপুর ইউনিয়ন) কে উপজেলা সংগ্রামী দলের  সভাপতি এবং পল্লব শাহ(বাসুপাড়া ইউনিয়ন)সিনিয়র সহ-সভাপতি, আসাদুল ইসলাম (গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন)সহ-সভাপতি,  আব্দুল হালিম (তাহেরপুর পৌরসভা) সাধারণ সম্পাদক, এস এম রায়হান খান (সোনাডাঙ্গা ইউনিয়ন) সহ-সাধারণ সম্পাদক, সেজানুর রহমান (গোবিন্দ পাড়া ইউনিয়ন) সহ-সাধারণ সম্পাদক, শুভ (গোয়ালকান্দী ইউনিয়ন) যুগ্ম সম্পাদক, আবু কাউসার (ভবানীগঞ্জ পৌরসভা) যুগ্ম সম্পাদক, এমদাদুল হক (শ্রীপুর ইউনিয়ন) সাংগঠনিক সম্পাদক,  আতিকুর রহমান ফয়সাল (নরদাস ইউনিয়ন)সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক,  সদস্যবিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।

ঘোষিত কমিটিগুলোকে আগামী তিন মাসের মধ্যে অধীনস্ত সকল ইউনিয়নের কমিটি করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বাগমারায় ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’- বাগমারা টাইমস



নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা টাইমসঃ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭) সময়সূচি ঘোষণা করেন, বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার  (ইউএনও) শরিফ আহম্মেদ।


আগামী ২৯ মে, (শনিবার) সকাল ৯ ঘটিকায় ভবানীগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন- ৫৫, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ ইঞ্জিঃ মোঃ এনামুল হক। 


এ খেলায় দিনের প্রথম দল হিসেবে অংশগ্রহণ করবে বড়বিহানালী বনাম যোগীপাড়া ইউনিয়ন (অনূর্ধ্ব-১৭)।

ইতোমধ্যে টুর্নামেন্টের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। টুর্নামেন্টে শিরোপা লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে ২ (দুই) গ্রুপ। যথাক্রমে ক- গ্রুপে ৮টি দল এবং খ- গ্রুপে ১০টি দল।


ক- গ্রুপের দলগুলো হলো- বড়বিহানালী, যোগীপাড়া, আউচপাড়া, শ্রীপুর, ভবানীগঞ্জ পৌরসভা, গোয়ালকান্দি, হামিরকুৎসা, কাচারি কোয়ালিপাড়া। 

খ- গ্রুপে রয়েছে- শুভডাঙ্গা, নরদাশ, বাসুপাড়া, গোবিন্দপাড়া, ঝিকড়া, সোনাডাঙ্গা, তাহেরপুর পৌরসভা, দ্বীপপুর, গণিপুর, মাড়িয়া। উক্ত আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করছে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা।


খেলার সময়কাল ৩০ মিনিট, প্রথমার্ধ ১৫ মিনিট, এর পর ৫ মিনিট বিরতি এবং দ্বিতীয়ার্ধ ১৫ মিনিট। প্রতিটি খেলায় তালিকাভুক্ত খেলোয়াড় হতে সর্বোচ্চ ৪ (চার) জন খেলোয়াড় পরিবর্তন করা যাবে। খেলোয়াড় তালিকায় অথবা খেলা শুরুর পর খেলায় অংশগ্রহণকারী কোন দলের ০৭ (সাত) জন খেলোয়াড় কম থাকলে প্রতিপক্ষ দলকে ২-০ গোলে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে এবং গোল সংখ্যা ২ (দুই) এর বেশি হলে তা বহাল থাকবে। প্রতিবন্ধী দুইটি দলের ০৭ (সাত) জনের কম খেলোয়াড় থাকলে খেলাটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে। যদি কোন দল খেলা শুরু হওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপস্থিত না থাকলে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে উপস্থিত দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। উল্লেখ্য, তালিকা ভুক্ত খেলোয়াড়দের এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এর অনুলিপি ও জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত অনুলিপি জমা প্রদান করতে হবে। অবশ্যই, প্রত্যক খেলোয়াড়কে বুট পরিধান করতে হবে ‌



প্রত্যক দলের খেলোয়াড় এর সংখ্যা হবে ১৬ জন, কোচ কর্মকর্তা ২ জন সহ মোট ১৮ জনের তালিকা জমা দিতে হবে। 


উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ বলেন, আমরা তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে খেলার জন্য ভালো একটি টিম গঠন করতে চাই। উপজেলার বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের নিয়ে এই টিম গঠন করা হবে। যা ‘অনূর্ধ্ব-১৭’ ঝাঁকজমকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।


খেলার সময়সুচীঃ

প্রথম দিন (ক- গ্রুপ)

১। ২৯ মে- শনিবার, বড়বিহানালী বনাম যোগীপাড়া

২। ২৯ মে- শনিবার, আউচপাড়া বনাম শ্রীপুর

৩। ২৯ মে- শনিবার, ভবানীগঞ্জ পৌরসভা বনাম গোয়ালকান্দি

৪। ২৯ মে- শনিবার, হামিরকুৎসা বনাম কাচারি কোয়ালিপাড়া


২য় দিন (খ- গ্রুপ) সময়সুচীঃ

১। ৩০ মে- রবিবার, শুভডাঙ্গা বনাম নরদাশ

২। ৩০ মে- রবিবার, বাসুপাড়া বনাম গোবিন্দপাড়া

৩। ৩০ মে- রবিবার, ঝিকড়া বনাম সোনাডাঙ্গা

৪। ৩০ মে- রবিবার, তাহেরপুর পৌরসভা বনাম দ্বীপপুর

৫। ৩০ মে- রবিবার, গণিপুর বনাম মাড়িয়া।


খেলা হবে নকআউট পদ্ধতিতে।

প্রথম দিনের (ক- গ্রুপ) এর সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে উক্ত দিনে বেলা ১১: ৫০ মিনিট যথাক্রমে ১২: ৪০ মিনিট এবং (ক- গ্রুপ) এর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২৯ মে) বিকাল ৪ ঘটিকায়।

দ্বিতীয় দিনের (খ- গ্রুপ) সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে উক্ত দিনে বেলা ১২টা, যথাক্রমে ১২:৪০ মিনিট, ১: ৩০ মিনিট, ২: ৩০ মিনিট। 


ক- গ্রুপ) এর ১ম দিনের চ্যাম্পিয়ান দল ২য় দিনের চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে ফাইনাল খেলবে। 


উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দিনের (খ- গ্রুপ) এর খেলায় সেমিফাইনাল পর্বে ৮ (আট) নং খেলায় নির্ধারিত সময়ে ড্র হলে ৭ (সাত) নং খেলার দলকে পরবর্তী পর্যায়ে খেলায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে।


বাগমারায় হারিয়ে যেতে বসেছে রসালো ফল কালো জাম|বাগমারা-টাইমস

বাগমারা-টাইমস


 নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

চলছে মধুমাস। এ মধুমাসে নানান প্রজাতির ফল-ফলাদি দেখা যায় আমাদের দেশে। এই মধুমাসে আম-জাম-কাঁঠালের মিষ্টি রসে যেন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এর মাঝে অন্যতম ফল হলো কালো জাম। এজন্যই কবি বলেছেন “পাকা জামের মধুর রসে রঙ্গীন করি মুখ”। পরম উপকারী এই জাম ফলটি সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে সমাদৃত।এই ফলটি নানান দেশে নানান নামে পরিচিত যেমন, জাম্বুল, জাম্বু, জামুল, কালোজাম ইত্যাদি। কিন্তু বর্তমানে রাজশাহী  বাগমারায় সময়ের পরিক্রমায় হারিয়ে যেতে বসেছে জামগাছ। 


অন্যান্য সব ফলের তুলনায় জামের স্থায়ীত্বকাল কম হলেও এটি পুষ্টিগুণে অতুলনীয়। ফলের স্বাদে মাসের নাম ফলাও হয়ে ঘুরতে থাকে মানুষের মুখে মুখে। তাইতো জৈষ্ঠ্য মাসকে মধুমাস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ মাসে হরেক রকমের ফল যেমন, আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, ডেফয়া, লটকন, কালো জাম,জামরুল, আতাফল, কাউ, শরীফাসহ নানা ফল পাকতে শুরু করে। মধুর স্বাদের ফল পাওয়া যায়। শুধু ফল নয় জাম গাছ তীব্র রোদে পশুপাখি ও মানুষদের স্নিগ্ধছায়া দান করে। জাম গাছের কাঠ দিয়ে তৈরী হতো বাহারী সব আসবাব পত্র। 


সম্প্রতিকালে বাগমারায় উপকারী এই জাম গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। আগে বিভিন্ন রাস্তায়, মহাসড়কে, পাড়া মহল্লায়, বাড়ির আঙ্গিনায়, পুকুর পাড়ে  দেখা মিলতো জাম গাছ। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এখন জাম গাছ রোপণ না করায় গাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে । বিগত দিনগুলোতে  কিছু মানুষ জাম বিক্রি করে দৈনিক আয় করতেন। কিন্তু বর্তমানে গাছের পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে  বাজারে এক কেজি কালো জাম বিক্রি হচ্ছে ১শ’ থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত। 


'গবেষক’ এর মতে জামে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে।এটি একটি অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান যা মানবদেহ নিজ থেকে উৎপাদন করতে পারে না। তাছাড়া শরীর থেকে দ্রুত ভিটামিন সি বের হয়ে যায় এবং দেহ এটি সংরক্ষন করতে পারে না। গবেষকের  তালিকা অনুযায়ী, ভিটামিন সি দেহের কোষের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ঠান্ডা দূর করে, স্মৃতি উন্নত করে এবং চোখের লেন্স’য়ে প্রোটিনের ক্ষয় দূর করে ছানি পড়া রোধ করে।


সময়ের পরিবর্তনে এ উপজেলার চাষীরা নানাবিধ ফল ফলাদি চাষ করছেন। যার চাপে পড়ে হারিয়ে যাচ্ছে পুরনো দিনের জামগাছগুলো। যার ফলে  একদিকে যেমন হারাতে বসেছে জামগাছ অপরদিকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে একটি অত্যাবশকীয় পুষ্টিগুণ হতে। বর্তমান সময়ে জাম গাছ লাগিয়ে প্রাচীন এ ফলটি রক্ষা করা এখন সময়ের দাবী বলে মনে করছেন এলাকার অভিজ্ঞমহল।

হামিরকুৎসা ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় জাহাঙ্গীরকে,ইউনিয়নবাসী-বাগমারা টাইমস

 




মোঃ আঃ আলিম সরদার,স্টাফ রিপোর্টারঃ

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়ন পরিষদে তরুন সমাজসেবক সাবেক ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর আলম শাহ ছোট বেলা হতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সাথে জড়িত।জাহাঙ্গীর আলম শাহ ১৯৯৩ সালে ছাত্র জীবনে বাগমারা উপজেলার ছাত্র লীগের সদস্য লাভ করেন।এর পর ১৯৯৫-৯৬ সালে পড়াশুনার উদ্দোশ্যে নাটোর নবাব সিরাজ উদ দোল্লা কলেজ ভর্তি হলে দখ্যতার জন্য তাকে কলেজ ছাত্রলীগের নাট্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের পদে দায়িত্ব পান।

১৯৯৮-৯৯ সালে তাহেরপুর কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৪-০৫ সালে ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৮-০৯ রাজশাহী জেলা কৃষক লীগের সদস্য হন।

২০১৩-২০১৯ সালে রাজশাহী কৃষক লীগের মৎস্য ও পশু বিষয়ক সম্পাদক পদ লাভ করেন।বর্তমানে বাগমারা উপজেলার কৃষক লীগের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।




ইতোমধ্যে তিনি বাগমারা উপজেলা কমপ্লেক্স হতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেন।দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন ও জমা দেবার পর হতে বিভিন্ন স্হানে ভোটার দের সাথে মতবিনিময় ও গণসংযোগ করতে দেখা যাচ্ছে। তারীধারাবাহিকতায় জাহাঙ্গীর আলমকে চেয়ারম্যান হিসেব দেখতে চান হামিরকুৎসা  ইউনিয়ন বাসী।


স্থানীয়রা জানান, এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন সহ বিভিন্ন কর্র্মকান্ডে বিশেষ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি বেকার যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করে আসছেন তিনি। এছাড়াও এলাকাবাসীর যে কোন বিপদ-আপদে সবসময় সহযোগীতা করে আসছেন।অল্প কিছু দিনের মধ্যে স্থানীয় গণমাণুষের হৃদয়ের মাঝে আস্থা অর্র্জন করে নিয়েছেন।বঙ্গবন্ধুর আর্দশে আদর্শিত জাহাঙ্গীর  শুধু এটা নাম নয় বাগমারা উপজেলায় প্রস্ফুটিত একটি সত্যিকারের ফুল হিসেবে দিনে দিনে নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন বিধায় এলাকার জনসাধারণ দলমত নির্বিশেষে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।


এবিষয় জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম জানান, এলাকাবাসী চাইলে তিনি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রাথী হতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন এলাকাবাসীর পাশে এখনও আছি ভবিষতেও পাশে থাকব। তিনি জানান, চেয়ারম্যান হলে ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট উন্নয়ন, মাদক মুক্ত, সামাজিক উন্নয়ন সহ অবহেলিত মানুষের পাশে সব সময় থাকবেন।

মাড়িয়া’র ইউপি চেয়ারম্যান আসকান-এর উপর হামলার অভিযোগে তিনজন গ্রেফতার-বাগমারা টাইমস






মাহফুজুর রহমান প্রিন্স (স্টাফ রিপোর্টার)

রাজশাহীর বাগমারায় মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসলাম আলী ওরফে আসকানের উপর হামলাকারী তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জিব কুমার জানিয়েছেন।


গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের হায়াতপুর গ্রামের আলতাফ হোসেন (৩৮), আফজাল হোসেন (৫০) ও জনাব আলী (৪৫)। গ্রেফতারকৃতদের বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে বাগমারা থানার পুলিশ জানিয়েছেন।


মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০ মে রাত সাড় ৯ টার দিক উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের হায়াতপুর গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত সালিশের জের ধরে একই এলাকার জাবেদ আলী, আফজাল হোসেন, আমজাদ হোসেন জনাব আলীসহ ১৫ জন মিলে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আসলাম আলী ওরফে আসকানের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় চেয়ারম্যান পালিয়ে গেলেও তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসা আব্দুল হান্নান, আব্দুল মজিদ ও বুলেট নামের তিনজনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। ওই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতির ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রউফ বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ সহ ৫/৬ জনকে আসামী করে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।



মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে থানা পুলিশ এজাহার ভুক্ত তিন আসামীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের বুধবার সকালেই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে বাগমারা থানার পুলিশ জানিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আসলাম আলী আসকান জানান, হায়াতপুর গ্রামের সাহাদ আলীর বাড়ির জমি নিয়ে সালিশ বৈঠক চলছিল। সালিশ বৈঠক চলা অবস্থায় আসামীগন পূর্ব পরিকল্পনানুসারে আমাকে হত্যার উদ্দশ্যে হামলায় চালায়। 

আমি সালিশ বৈঠক থেকে পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করি। খবর পেয়ে আমার কিছু লোকজন আমাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসলে আসামী সংঘবদ্ধ হয়ে তাদেরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম কর। স্থানীয় লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। ওই ঘটনায় আমার ছেলে আব্দুর রউফ বাদী হয়ে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তাদের অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ট বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তিনি ওই সকল সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান।


এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম আলী ওরফে আসকানের উপর হামলার ঘটনায় তার ছেলে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন

বাগমারা তাহেরপুর হতে শিকদারি রাস্তার বেহাল দশা-বাগমারা টাইমস








স্টাফ রিপোর্টার বাগমারা টাইমসঃ

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর হতে শিকদারি প্রধান রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার একটু পরপর বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুকূপ।

প্রতিদিনই ঘটছে দূর্ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাত্র ৩ বছর আগে নির্মাণ করা সড়কটি এখন চলাচলের প্রায় অযোগ্য।


স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধিনে প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কের সংস্কারও নেই দীর্ঘদিন। 

এদিকে দ্রুত সংস্কারের পাশাপাশি উপজেলার প্রধান সড়কপথ এলজিইডি থেকে সড়ক বিভাগে অধীনে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এটি রাজশাহী থেকে আত্রাই যাবার প্রধান সড়ক। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়ক তৈরীর ৩ বছরের মধ্যেই হয়েছে এমন বেহাল অবস্থা। 

বিশেষ করে তাহেরপুর হরিতলা বড় ব্রিজ থেকে রামরামা জলপাইতলা ও শিকদারি বাজারে পথ চলাচলের প্রায় অযোগ্য। গেল বর্ষায় কোন কোন স্থানে সামরিক ইট দিয়ে সংস্কার করা হলেও  নতুন করে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে সড়কের প্রায় ৭০% স্থানেই এমন বেহাল দশা দেখা দিয়েছে।

সরকটির আসে পাশে বসবাসরত স্থানীয় জনগন জানান এই রাস্তাটির কিছু কিছু স্থানে সংষ্কার হলেও রাস্তাটিতে বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে যা নৃত্যনতুন ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

১৩ জুন থেকে সব স্কুল-কলেজ খুলবে: শিক্ষামন্ত্রী -বাগমারা টাইমস

 



অনলাইন ডেক্স বাগমারা টাইমসঃ

আগামী ১৩ জুন থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।


মহামারি করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন এমন কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। বুধবার (২৬ মে) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। যদিও টিভি, কমিউনিটি রেডিওসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভার্চুয়াল ক্লাস নেয়া হচ্ছে। এতে সকল শিক্ষার্থীকে যুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য বর্তমানে শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ দেয়া হচ্ছে। শিক্ষকরা নানান পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আগামী ১৩ জুন ২০২১ থেকে আমরা দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের তৈরি করা স্বাস্থ্যবিধির গাইডলাইন অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান পরিচালনা করা হবে। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।’ তাই বিদ্যালয় খুলে ছেলেমেয়েদের পেছনের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে আগামী ১৩ জুন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এ জন্য ১২ জুন পর্যন্ত নতুন করে ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নতুন করে আর বড় ধরনের মহামারি আকার ধারণ না করলে ১৩ জুন থেকে সব স্কুল-কলেজ খুলে শিক্ষার্থীদের সশরীরে পাঠদান শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে।


আর করোনার দুটি টিকার ডোজ সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের প্রদান সম্পন্ন হলে আবাসিক হল যুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।


সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জি এম হাসিবুল আলম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক চৌধুরী।

রাজশাহীতে আন্দোলনের অংশ হিসাবে রাজপথেই ক্লাস কর্মসূচি পালন-বাগমারা টাইমস





নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে রাজশাহীতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজপথেই এবার প্রতীকী  ক্লাস ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এমন কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিন ক্লাসের বিষয়বস্তু ছিল ‘সমসাময়িক বাংলাদেশ ও শিক্ষা পরিস্থিতি’।

শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ। কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন- রাকসুর সাবেক ভিপি রাগিব আহসান মুন্না, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা, করোনাজয়ী সাংবাদিক আমানুল্লাহ আমান, ছাত্রনেতা তামিম শিরাজী, আব্দুর রহমান নাবিল।


এ সময় নির্ধারিত বিষয়বস্তুর ওপর ক্লাস নেন রাবি অধ্যাপক। এরপর একজন শিক্ষার্থী দুই-এর ঘরের নামতা পড়েন ও শিশুকালে স্কুলের মতো উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরও পড়ান। পরে মো. জাকারিয়া নামে একজন শিক্ষার্থী সেই নামতা রাবি অধ্যাপকের সামনে শোনান এবং দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার প্রতিবাদ হিসেবে ভুল করে পড়েন। দুই এক্ক তিন, দুই দুগনো পাঁচ, তিন দুগনো সাত, আট দুগনো সতেরÑ এভাবে ভুল পড়েন এবং শিক্ষার্থীরা হাত উঁচিয়ে প্রতীকী বাধা দেন।


কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন নর্থ বেঙ্গল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ। একই বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল সাবিরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ দিনের কর্মসূচিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহব্বত হোসেন মিলন, কুষ্টিয়ার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌকি ওয়াসিফ, রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী নাদিম সিনা, শিরোইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ রানাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।


অবস্থান কর্মসূচিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ বলেন, এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা চরমভাবে বিষন্নতায় ভুগছে। এর প্রভাবে মানসিক পীড়া দিচ্ছে তাদেরকে। এ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার আলো পেয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

অধিক সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাবজি গেমে আকৃষ্ট শিক্ষার্থীরা-বাগমারা টাইমস

 





নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

করোনা মহামারীর কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় রাজশাহী শহরের পাশাপাশি  গ্রামে শিশু-কিশোর, তরুণ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ক্রমান্বয়ে আসক্ত হয়ে পড়ছে মোবাইল গেমস-এর প্রতি।দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক চলছে ভার্চুয়াল ও অনলাইন ক্লাস।

 

যেখানে ঘরে বসেও যুক্ত থাকা যায় ঐ সব ক্লাসে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির অবাধ অগ্রগতির যুগে করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ছাত্র-ছাত্রীর ইতিবাচক মানসিকতা ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হওয়ার কারণে ওইসব অনলাইন ক্লাসে যুক্ত থাকার কথা বলা হয়। তবে অধিকাংশ ছেলেমেয়েরা ক্লাসে যুক্ত থাকুক আর নাইবা থাকুক, যুক্ত হচ্ছে বিভিন্ন মোবাইল গেমসে। তবে ছোট হোক, আর বড় হোক সকলেই এখন ফ্রী ফায়ার গেমস নিয়ে ব্যস্ত। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর থেকে বাধ্যতামূলক শুরু হয় ভার্চুয়াল ক্লাস। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের যুক্ত হতে বলা হয় ওইসব ভার্চুয়াল ক্লাসে। 



যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যবহার খানিকটা বাধ্যতামূলক করা হয়। তবে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ভার্চুয়াল ক্লাসের পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন মোবাইল ভিত্তিক বিভিন্ন গেমসে। বর্তমানে যা রীতিমতো তাদের আসক্তিতে পরিণত হয়েছে। বই খাতা তো দূরে থাক খাওয়া-দাওয়া বাদ দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কখনোবা দিনের বেশিরভাগ সময় তারা পার করছে মোবাইল গমসে। কখনও বাড়ির নিরিবিলি পরিবেশ কিংবা বিভিন্ন অজুহাতে বাড়ী থেকে বেরিয়ে চায়ের দোকান, পরিত্যক্ত ভবন, ফাঁকা মাঠ কিংবা শান্ত পরিবেশে তারা দলবেঁধে মেতে উঠছে মোবাইল গেমসে।

আম খাওয়ার ১২টি উপকার |বাগমারা-টাইমস



স্বাস্থ্য টিপসঃ 

মধুমাস মানে রসে মাখামাখি করে আম খাওয়ার দিন। হিমসাগর, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, খিরসাপাতি; নামেই যেন অর্ধেক প্রশান্তি। এরপরও যাদের গপাগপ আম খাওয়া চাই, তাদের জন্য একগাদা কারণ হাজির করেছেন বিশেষজ্ঞরা।


 

ক্যান্সার যোদ্ধা

কোয়েরসেটিন, ফাইসেটিন, আইসোকোয়েরসেটিন, অ্যাস্ট্রাগ্যালিন, গ্যালিক অ্যাসিড ও মিথাইল গ্যালেট নামের কঠিন নামওয়ালা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো আছে আমে। স্তন ক্যান্সার থেকে শুরু করে কোলন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার ও লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে এগুলো বেশ কাজের।

 

কোলেস্টেরল ঠিকঠাক

উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি, ফাইবার ও প্যাকটিন থাকায় রক্তে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা রাখে রসালো আম।

 

ত্বকের জন্য

ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আম। বিশেষ করে ত্বকের ফুসকুড়ি দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এটি।

 

অ্যালকালাইন লেভেল

আমে আছে টারটারিক অ্যাসিড ও ম্যালিক অ্যাসিড। আছে সাইট্রিক অ্যাসিডও। শরীরের অ্যালকালি নামের রাসায়নিকের ভারসাম্য ঠিক রাখে এটি।

 

ওজন কমাতে

আমে এতো এতো ভিটামিন আছে যে একটা আম খেলেই কিন্ত শরীরে রোজকার ভিটামিনের চাহিদা মিটে যাওয়ার কথা। আবার এতে ফাইবারও যোগাবে পুষ্টি ও শক্তি। তাই এই মৌসুমে যারা ওজন কমানোর কথা ভাবছেন তারা বার্গার, কোল্ড ড্রিংকস বা সাব-স্যান্ডউইচের বিকল্প খাবার হিসেবে বেছে নিন আম।

 

লাভ ফ্রুট

ইংরেজিতে কঠিন একটা শব্দ আছে- আফ্রোডিজিয়াক। এর বাংলা হতে পারে এমন, যাহা খাইলে মনে ভালোবাসার উদ্রেক হয়। আম কিন্তু এমনই একটা ফল। সুতরাং মৌসুম থাকতেই প্রিয়জনকে বেশি বেশি আম উপহার দিন।

 

চোখের জন্য

এটা তো ছোটবেলা থেকেই পড়ে এসেছেন। আমের ভিটামিন এ আমাদের রাতকানা থেকে বাঁচাবে। যদিও এ রোগ এখন নেই বললেই চলে তবে চোখের স্বাস্থ্যের জন্য বেশি বেশি আম খেলে ক্ষতি নেই। বিশেষ করে ড্রাই আই সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা আম খেয়ে উপকার পেতে পারেন।

 

হজমের জন্য

স্বাস্থ্য যদি সুখের মূলে থাকে, তবে স্বাস্থ্যের মূলে আছে হজম। আমে থাকা এনজাইমগুলো প্রোটিন উপাদানগুলোকে সহজে ভেঙে ফেলতে পারে। এতে খাবার হজম হয় দ্রুত, বাঁচা যায় পাকস্থলী সংক্রান্ত অনেক রোগ থেকেও।

 

হিট স্ট্রোক ঠেকাবে

এই গরমের হিট স্ট্রোক সাধারণ ঘটনা। আম আমাদের ভেতরটা শীতল রাখে ও শরীরকে অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া থেকে শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলোকে বাঁচায়।

 

রোগ-প্রতিরোধ

এই করোনাকালে আমে থাকা ক্যারোটেনয়েড বাড়িয়ে দেবে আপনার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা। সহযোদ্ধা হিসেবে ভিটামিন সি তো আছেই।

 

মনযোগ ও স্মৃতির জন্য

কোনও কিছুর প্রতি মনযোগ ধরে রাখতে কষ্ট হলে উপকার করবে আম। মেমোরি বুস্টার হিসেবেও কাজ করে ফলটি।

 

বডি স্ক্রাব

ত্বককেও খাওয়াতে পারেন আমের নির্যাস। বডি স্ক্রাব হিসেবে পাকা আম বেশ ভালো কাজ করে। পেস্ট তৈরি করে তাকে একটুখানি মধু আর দুধ মিশিয়ে নিন। আলতো করে মাসাজ করে ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

 

কতোটা খাবেন?

এতো এতো উপকারের কথা শুনে গপাগপ গিলতে যাবেন না। এক কাপ আমে আছে ১০০ ক্যালোরি। আর এর ৯০ ভাগই আসে আমে থাকা চিনি থেকে। সুতরাং ডায়াবেটিস রোগীরা আম খাওয়ার আগে পুষ্টিবিদের দেওয়া চার্টটা দেখে নিন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দিনে একটি পাকা আমের অর্ধেকটা খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়।

 

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ফ্রি কল মিনিট ও ডাটা (ইন্টারনেট) দিচ্ছে রবি|বাগমারা-টাইমস

 



যোগাযোগ/তথ্য সেবা ডেস্কঃ 

করোনা মহামারির কারণে চলমান লকডাউনে যারা মোবাইল ফোনে রিচার্জ করতে পারেননি তাদের ফ্রি কল মিনিট ও ডাটা (ইন্টারনেট) দেবে রবি। জরুরি প্রয়োজনের দিকটি মাথায় রেখে এ অফারটির আওতায় ১০ মিনিট টকটাইম ও ১০০ এমবি (মেগাবাইট) ডাটা গ্রহণ করতে পারবেন গ্রাহকরা।

রবির এক কোটিরও বেশি গ্রাহক এই অফারটি উপভোগ করতে পারবেন।2122# or ২১২২# কোড ডায়াল করে এই অফারটি অ্যাক্টিভ করা যাবে। তিনদিন মেয়াদি এই অফারটি গ্রাহকরা একবার নিতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরও লকডাউনের সময় রবি তার গ্রাহকদের টকটাইম ও ডাটা উপহার দিয়েছিল।

বাগমারায় কৃষি জমিতে ফসলের পরিবর্তে মাছ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা -বাগমারা টাইমস

 



ফটোঃ সংরক্ষিত 


নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমরা টাইমসঃ

জমিতে ফসলের পরিবর্তে পুকুর কেটে মাছ চাষে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন রাজশাহী বাগমারার অনেক কৃষক।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বড় বড় পুকুর খনন করতে দেখা যাচ্ছে। মৎস্য বিভাগ এতে সহযোগিতা করলেও কৃষি বিভাগ খাদ্য উৎপাদন ঝুঁকির মধ্যে পড়ার আশঙ্কা করেছে।


উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রবিউল করিম জানান, ধান উৎপাদন থেকে মাছ চাষে অধিক লাভ হওয়ায় অনেক কৃষক ধান বাদ দিয়ে মাছ চাষে এগিয়ে আসছেন। আগে যে জমিতে ধান চাষ হতো এখন তারা সেখানে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করছেন। ধান চাষ করে যে লাভ হয় মাছ চাষে তার থেকে দুইগুণ পর্যন্ত বেশি লাভ হয় বলে জানান মৎস্য চাষীরা


তিনি বলেন, এটা কৃষির সাথে বিরোধ নয়, মাছ চাষ কৃষির-ই একটি অংশ। আমি উপজেলা ও ইউনিয়ন সকল মৎস্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি, আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে তাদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য।


এভাবে আবাদি জমি কমতে থাকলে উপজেলায় খাদ্য উৎপাদন কমে যাবে এবং খাদ্যনিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে তিনি মনে করেন। তবে কৃষকরা দেখছেন নগদ লাভের দিকটা।

তবে সাধারণ জনগন মনে করেন নির্দিষ্ট আইন না থাকায় অধিক পরিমাণে মাছ চাষ করে কৃষিজমি ধ্বংস করা হচ্ছে।


বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামা গ্রামের মৎস্য চাষী আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি ছয় বছর আগে কৃষিকাজ করতাম। ধান চাষে কৃষি শ্রমিক পাওয়া যায় না। তাছাড়া ধান আবাদে যে খরচ হয়, বাজার দরে তাতে লাভ তো দূরের কথা, চালানই ওঠে না। তাই আমি মাছ চাষে আগ্রহী হয়েছি।


বর্তমানে তিনি ৬০ একর জমির পুকুরে মাছ চাষ করে বছরে খরচ বাদে পাঁচ লাখ টাকা লাভ পাচ্ছেন বলে জানান।


উপজেলার যুগিপাড়া ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, ঐ গ্রামের বাসিন্দা চপল মোল্লা ও হালিম মোল্লাসহ ১১ জন মিলে ১১০ বিঘা জমি নিয়ে একটি বিশাল দিঘি খনন করে সেখানে মাছের খামার করছেন। এ জমিতে গত মৌসুমেও বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল। গত ছয়-সাত বছর ধরে ধানসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করে তারা তেমন লাভ পাননি বলে জানান।


উপজেলার বাজে-গোয়ালকান্দি গ্রামের ময়না হোসেনও একই কথা বলেন, কিন্তু বর্তমানে দুই একর জমিতে মাছ চাষে প্রতিবছর দুই লাখ টাকা আয় হচ্ছে বলে তিনি জানান।


‘ধানের চেয়ে মাছ চাষে লাভ বেশি, তাই সমবায়ের ভিত্তিতে আমি আরও ২০ একর জমিতে মাছ চাষের চিন্তা করছি’


যশেরবিল এলাকার কৃষক আলিমুদ্দিন ছয় একর জমিতে ধান চাষ করে কয়েক বছর ধরে লোকসান গুনেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে প্রায় লাখ টাকা করে লোকসান হচ্ছিল। বর্তমানে ওই জমিতে মাছের ঘের করে ভাল লাভ পাচ্ছি। তিনি আরও জমিতে মাছ চাষের চিন্তা করছেন বলে জানান।


উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নের ফসলি জমিতে বড় বড় পুকুর খনন করা হচ্ছে, এ চিত্র সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে গোয়ালকান্দি, হামিরকুৎসা, যুগিপাড়া, শ্রীপুর, আউচপাড়া, সোনাডাঙ্গা ও নরদাস ইউনিয়নে। তবে উপজেলার দুই পৌরসভা তাহেরপুর ও ভবানীগঞ্জ-এ পরিমাণ তুলনামূলক কম মনে হয়েছে।


উপজেলার কৃষিজমির পরিমাণ সম্পর্কে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুর রহমান জানান, গত ১০ বছরে বাগমারায় মাছ চাষের কারণে প্রায় ৫ শত হেক্টর ফসলি জমি কমে গেছে। ২০০৫ সালে এ জেলায় ফসলি জমির পরিমাণ ছিল ২০ হাজার হেক্টর। ২০১২ সালে তা কমে দাঁড়ায় ১৭ হাজার হেক্টরে। ২০২০ সালে আরও তিন হাজার হেক্টর কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার হেক্টরে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুলের জন্মজয়ন্তী আজ

 





সারোয়ার  হোসেন স্বাধীন (স্টাফ রিপোর্টার)

কি প্রেম, কি দ্রোহ—তাঁর মতো কেউ বলেনি এতটা দরদ দিয়ে। তাঁর গান, কবিতা শুধু বাঙালিকে আনন্দই দেয়নি, লড়াই-সংগ্রামে জুগিয়েছে অনুপ্রেরণা। যেখানেই অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার, অসাম্য—সেখানে উচ্চারিত হয় কাজী নজরুল ইসলামের নাম। আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ, মঙ্গলবার। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ, আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন। বাঙালির আবেগ, অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকা চির বিদ্রোহী এ কবির ১২২তম জন্তজয়ন্তী আজ।



কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে। বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ, মা জাহেদা খাতুন। দরিদ্র পরিবারে জন্মের পর দুঃখ-দারিদ্র্য ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। তাঁর ডাকনাম ছিল দুখু মিয়া। বাবার অকালমৃত্যুতে পরিবারের ভরণপোষণের জন্য তিনি শিশু বয়সেই মক্তবে শিক্ষকতা, হাজি পালোয়ানের মাজারে খাদেম, মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ করেন। তবে নিজের দুঃখ নিয়ে নয়, তিনি জাতির দুঃখ-ক্লেশ, দৈন্য-লজ্জা ঘোচানোর জন্য ভাবতেন সব সময়।

কাজী নজরুল ইসলাম বিশ শতকের বিশ ও ত্রিশের দশকে উপমহাদেশের অবিভক্ত বাংলার সাংস্কৃতিক জগতে সবচেয়ে বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্ব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যর্থ অনুকরণ ও অনুসরণের কৃত্রিমতা থেকে আধুনিক বাংলা কবিতাকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল সবচেয়ে সফল। তিনিই রবীন্দ্র-উত্তর বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার পথিকৃৎ। নজরুল তাঁর কবিতা, গান ও উপন্যাসে পরাধীন ভারতে বিশেষ করে অবিভক্ত বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা, সামন্তবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।


কোমল আর কঠিনে মেশানো এক অপূর্ব ব্যক্তিত্ব কাজী নজরুল ইসলাম। প্রেমে পূর্ণ, বেদনায় নীল। আবার প্রতিবাদে ঊর্মিমাতাল। তিনি আমাদের অনন্ত প্রেরণার উৎসও। বাংলার মানুষের সবচেয়ে কাছের, প্রাণের মানুষ তিনি। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে অসুস্থ কবিকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। বঙ্গবন্ধু কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেন। পরে তাঁকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।


 সরকারি-বেসরকারি চ্যানেল ও রেডিওস্টেশনগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়।

জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মুফতি আমির হামজা গ্রেফতার- বাগমারা টাইমস





নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

ওয়াজের নামে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে উগ্রবাদ ছড়ানোয় অভিযোগে  মুফতি আমির হামজাকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) একটি দল।


সোমবার (২৪ মে) বিকেলে মুফতি আমির হামজার গ্রামের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়৷ সন্ধ্যায় সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন৷


মুফতি আমির হামজা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানাধীন পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ডাবিরাভিটা গ্রামের বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিন সর্দারের ছেলে৷ 


পুলিশের দাবি, আমির হামজা ওয়াজ মাহফিলের নামে ইসলামের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন। ইউটিউবে ছড়ানো তার বেশকিছু বক্তব্য উগ্রবাদ, উসকানিমূলক, যা শুনে কিশোর-তরুণরা জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি নাশকতার মামলায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অভিযান শুরু হলে আত্মগোপনে চলে যান আমির হামজা।


সিটিটিসি সূত্রে জানা গেছে, তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টায় গত ৫ মে সাকিব নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। সাকিবকে গ্রেফতারের পর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় সাকিব ছাড়াও আলী হাসান ও মাহমুদুল হাসান গুনবী নামে দুজনকে আসামি করা হয়।


সাকিবের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাকিব কথিত বক্তা আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আমির হামজা, হারুন এজহার প্রমুখের উগ্রবাদী-জিহাদী হামলার বার্তাসংবলিত ভিডিও দেখেন এবং উগ্রবাদে আসক্ত হন।

গত ১৫ মে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের তৎকালীন উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলাচেষ্টাকারী সাকিবকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, এক ইসলামী বক্তার নির্দেশে তিনি এই পরিকল্পনা করেছিলেন। কয়েকজনের ওয়াজ ও বক্তব্য শুনে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হন তিনি। আমরা সেসব বক্তাকে চিহ্নিত ও গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।’


মুফতি আমির হামজা বাংলাদেশ জাতীয় মুফাচ্ছির পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।


বাগমারার জোঁকা বিলে বিষ প্রয়োগ, মাছ নিধনের অভিযোগ- বাগমারা টাইমস

 


মাহফুজুর রহমান প্রিন্স 

(সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার) বাগমারা: 

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের জোঁকা বিলে সদ্য অবমুক্তকরণকৃত মাছে বিষ প্রয়োগ করছে দুর্বৃত্তরা। সেই সাথে মাছ পাহারা দিতে তৈরিকৃত ভাউড়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলাও হয়েছে। চলতি বছর জোঁকা বিলে মাছ চাষের লক্ষ্যে তিন দিনে রুই, কাতলা, মৃগেল, চিতল, ফলি সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৭০ মন মাছ বিলের একটি জলাধারে মজুদ করেন মৎস্যচাষী সহ জমির মালিকরা। এতে করে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে চাষের জন্য মজুদকৃত মাছে বিষ প্রয়োগ করে। বিষ প্রয়োগের পরে সেখান থেকে মাছ ধরে উপজেলার হাট-গাঙ্গোপাড়া সহ বেশ কয়েকটি মৎস্য আড়ৎতে গিয়ে সেগুলা বিক্রয় করে।


সোমবার ভোরে বিলে মজুদকৃত মাছ ধরছিলো লোকজন। বিষয়টি দেখতে মৎস্য চাষীদের মধ্যে বাবুল নামের একজন সেখানে যাই। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান সকল মাছ মরে পানিতে ভেসে উঠেছে। বিষয়টি তাৎক্ষনাত অন্যদের জানায়। পরে ঘটনাটি মুঠোফোনের মাধ্যমে বাগমারা থানা পুলিশকে অবহিত করেন ক্ষতিগ্রস্তরা। পরে সেখানে পুলিশ গিয়ে খোঁজখবর নেয়।


গ্রামবাসীরা জানায় , ইতোপূর্বে জোঁকা বিলে মাছ চাষকে কেদ্র করে ৩ বছরের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। ওই কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কতিপয় সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ ওঠায় তাদের সেখানে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এই দ্বন্দ্বের কারণেই সেখানে প্রতিপক্ষরা প্রতিহিংসামূলক বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তাদের ধারণা।


বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ জানান, ওই ঘটনায় কোন পক্ষই এখনও অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদারকি করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মাদ লুৎফর রহমান ইন্তেকাল- বাগমারা টাইমস



মাহফুজুর রহমান প্রিন্স 

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা:

রাজশাহী, বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার উত্তর একডালা মহল্লার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মাদ লুৎফর রহমান (৭০) গতকাল রবিবার দিবাগত রাত ২ ঘটিকার সময় তার নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি এক স্ত্রী, এক কন্যা ও তিন পুত্র সন্তান সহ নাতি নাতনি ও গুনগ্রাহী রেখে গিয়েছেন। সোমবার বেলা ২ ঘটিকার সময় মরহুমের নিজ বাসভবনে জানাযা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।


মরহুমের জানাযায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার শাহাবুল ইসলাম, বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মদে সহ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহীর চৌদ্দপাই এলাকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১২





নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

রাজশাহী  বাস চলাচল শুরুর প্রথম দিনেই দুইটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুর পৌনে একটায় নগরীর অদুরে কাটাখালীর চৌদ্দপাই এলাকার গম গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনের মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


নিহতের নাম রবিউল আউয়াল (৩২)। তিনি একজন মোটর শ্রমিক। আহতের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, দুর্ঘটনাস্থল থেকে একজনকে নিহত অবস্থায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও ১২ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।




তিনি আরও জানান, হানিফ ও আফিয়া নামের দুইটি বাসের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। হানিফ ট্র্যাভেলসের একটি বাস ঢাকা থেকে রাজশাহী আসছিল। আর আফিয়া নামের আরেকটি বাস রাজশাহী থেকে যাচ্ছিল। দুইটি বাসই বেপরোয়া গতিতে চলছিল। কাটাখালীর চৌদ্দপাই এলাকাস্থ গম গবেষণা ইনস্টিটিউটের কাছাকাছি এলে তীব্র গতির কারনে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সংঘর্ষ ঘটে।

দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর রাজশাহী, ঢাকা সহ কয়েকটি জেলায় ট্রেন চলাচল শুরু- বাগমারা টাইমস

 




মোঃ রকিবুজ্জামান রকি

আজ সোমবার সকালে অর্ধেকেরও কম যাত্রী নিয়ে তিনটি ট্রেন রাজশাহী থেকে ছেড়ে গেছে। রাজশাহী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত বিকেলে আসায় এবং ট্রেনের টিকিট বিক্রির সার্ভার চালু হতে রাত হওয়ায় লোকজন প্রথম দিন টিকিট কাটতে পারেনি। এ কারণে প্রথম দিনে যাত্রী অনেক কম।

রাজশাহী থেকে সকাল ৬টা ২০ মিনিটে তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন কুড়িগ্রামের চিলাহাটির উদ্দেশে রাজশাহী ত্যাগ করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ে সকাল ৭টায়। ফরিদপুর ভাঙ্গার উদ্দেশে মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছাড়ে সকাল আটটায়। এসব ট্রেনে নির্ধারিত যাত্রীর তুলনায় অর্ধেকেরও কম যাত্রী ছিল।

এদিকে গতকাল রোববার রাতেই রাজশাহী থেকে দূরপাল্লার বাস চালু হয়েছে। আজ সকালেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চলছে।

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ দেশে আসার পর সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে বাস–ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় সরকার। গত ঈদে এ ধরনের পরিবহন বন্ধ থাকায় নানা দুর্ভোগ নিয়ে লোকজন কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। ঈদ শেষে ভোগান্তি পোহাতে পোহাতে তাঁরা ফের কর্মস্থলে ফিরেছেন। দীর্ঘ দুই মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকে গণপরিবহন চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার। তবে ট্রেন ও বাস চলার ক্ষেত্রে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

রাজশাহী রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী রেলস্টেশনে সকাল থেকেই কিছুটা ভিড় ছিল। সকাল ছয়টা থেকে আটটার মধ্যে তিনটি ট্রেন ছেড়ে যায় এ স্টেশন থেকে। স্টেশনের বাইরে গেটে রেলওয়ের কর্মকর্তা কড়া নিরাপত্তায় যাত্রীদের টিকিট চেক করে ভেতরে ঢোকান। এরপর প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার আগে আরেকবার টিকিট ও মাস্ক পরানোর ব্যাপারে তদারকি করা হয়। ট্রেনে ওঠার আগে প্রত্যেক যাত্রীর হাতে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়।

রাজশাহী রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি মাত্র ১১৫ জন যাত্রী নিয়ে চিলাহাটির উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এর মোট আসন রয়েছে ১ হাজার ৮৭টি। এখানেও অর্ধেক যাত্রী যাওয়ার কথা ছিল। সকাল সাতটায় ছেড়ে যাওয়া বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের মোট আসনসংখ্যা ছিল ৯৮৮। এর মধ্যে অর্ধেক যাত্রী হিসাবে ৪৯৪টি আসন বিক্রির কথা ছিল। এদিন ছেড়ে যাওয়া এই ট্রেনে যাত্রী ছিল ২৫৫ জন। আর ফরিদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনে যাত্রী ছিল ২২৫ জন। এর মোট আসন ছিল ৭৮৪ জন। এরও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম বলেন, অর্ধেক আসনে যাত্রী বসিয়ে অনলাইনে টিকিট কাটার মাধ্যমে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত দুপুরের পর আসে। আর রাত নয়টার পর ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রির সার্ভার চালু হয়। সব মিলিয়ে যাত্রীরা আর এত রাতে টিকিট কাটতে পারেনি। তাই আজ কম যাত্রী নিয়ে ট্রেন ছাড়তে হয়েছে।

সকালে রাজশাহী রেলস্টেশনে পরিদর্শনে আসেন পশ্চিম রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চালু হওয়া সব ট্রেনের টিকিট অনলাইনে অর্ধেক পাওয়া যাচ্ছে। ট্রেনে খুব সতর্কভাবে যাত্রীদের তোলা হচ্ছে। মেডিকেল টিমসহ রেলের অন্য কর্মকর্তারা খুব সতর্কভাবে কাজ করছেন।