সর্বশেষ খবর

বাগমারায় বাড়িঘর হামলার ঘটনায় আদালতে মামলা- বাগমারা টাইমস



মাহফুজুর রহমান প্রিন্স 

(স্টাফ রিপোর্টার) বাগমারা: 


বাগমারায় বাড়িঘর হামলার দুই দিন পর রাজশাহীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে হামলাকারী চিহ্নিত তিনজন ও অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলেন আহত মকবুল হোসেনের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন। আদালত মামলাটি আমল নিয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বাগমারা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।


আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুন শনিবার দুপুরে উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের কামারবাড়ি গ্রামে মকবুল হোসেনের ভাগ দখলী সম্পত্তি একই গ্রামের আব্দুল আলী, ওয়াজেদ আলী ও রুবেল হোসেন জোর পূর্বক দখল করার চেষ্টা করে। ওই সময় মকবুল হোসেনসহ এলাকার লোকজন বাঁধা দিলে তারা সেখান থেকে চলে যান। ওই ঘটনার জের ধরে শনিবার দিন সন্ধ্যায় আব্দুল আলী, ওয়াজেদ আলী ও রুবেল হোসেন তাদের পক্ষের লোকজন নিয়ে মকবুল হোসেনের বাড়িতে হামলা করে। তাদের হামলায় মকবুল হোসেন আহত হয়। খবর পেয়ে বাগমারা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পোঁছালে হামলাকারীরা পালানোর চেষ্টা করে। ওই সময় পুলিশ দুই হামলাকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। 


স্থানীয় লোকজন আহত মকবুল হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি মিমাংসার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করলে আটককৃতদের ছেড়ে দিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসে। বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য ওই দিন রাতেই উপজেলা আ’লীগের দলীয় পদধারী এক নেতা তার কয়েকজন সহযোগিকে সাথে নিয়ে থানায় যান এবং হামলার ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওসিকে অভিযোগ করেন। এক পর্যায়ে ওসি সাহেব ওই নেতার কথামত পুলিশ অফিসারকে চার্জ করেন এবং ওই বিষয় মাথা না ঘামানোর জন্য নিষেধ করেন বলে মামলার বাদী মোয়াজ্জেম হোসেন অভিযোগ করেন।


তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনার পর পদধারী নেতা থানা থেকে বেরিয়ে আসেন এবং হামলাকারীদের উৎসাহ দেন। তাদের উৎসাহ পেয়ে হামলাকারীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। তাদের কর্মকান্ডের কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে এবং নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আহত মকবুল হোসেনের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন সোমবার ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করে রাজশাহীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী মোয়াজ্জেম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, দলীয় পদধারী নেতা এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে। তাই তিনি সুষ্ঠ বিচার পাওয়ার জন্যই আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন।


এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, মামলার বিষয়টি তিনি জানেন না। থানায় আসলেই তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।