সর্বশেষ খবর

বাগমারায় সরকারি বিধিনিষেধ মানতে এমপি এনামুল হকের খোলা চিঠি-বাগমারা টাইমস




নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

প্রিয় বাগমারা বাসি আসসালামু আলাইকুম,

আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে,গতবছরের ন্যায় এবছরও কোভিড-১৯ মহামারী আকার ধারণ করেছে, আমাদের রাজশাহী জেলাতে এখন মহামরী করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি উচ্চ ঝুঁকি বিরাজমান।


এ পরিস্থিতিতে আমি আগেই‌ উপজেলায় প্রচার-প্রচারণা অক্সিজেন সহ যাবতীয় সচেতনতামূলক কাজ চলমান করে রেখেছি,বিনা প্রয়োজনে কেউ ঘরের বাইরে বের হবেন না।


মনে রাখবেন পরিবারের কেউ করোনায় মারা গেলে হয়তো মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে,কিন্তু আপনার পরিবারের জন্য সারাজীবনের কান্না হবে।


আসুন সবাই মাস্ক পরি,সচেতন হউ,সুস্থ থাকি।করোনা ভাইরাস মুক্ত থাকি। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন,আমিন।


সকলের শুভ কামনায়,

ইন্জিঃএনামুল হক এমপি

বাগমারা ৪ রাজশাহী।

পু্ঁইশাকের পুষ্টিগুন-বাগমারা টাইমস





স্বাস্থ্য ডেক্সঃ

পুঁইশাক আমাদের দেশের জনপ্রিয় এবং বেশ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি শাক। সবজি বাজারে প্রায় সারবছরই পুঁইশাকের দেখা পাওয়া যায়। এই শাক নানাভাবে রান্না বা ভাজি করে খাওয়া যায়। ইলিশ-পুঁই ও চিংড়ি-পুঁই অনেকের অতি প্রিয় তরকারি। সবুজ ও লাল-এই দুই রঙের হয়ে থাকে পুঁইশাক। সহজলভ্য বলে এই শাক কম-বেশি সবার কাছে প্রিয়। পুঁইশাকের পুষ্টিগুণের কারণে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে।


পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন 'বি`, 'সি` ও 'এ` পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং আয়রণ আছে। নানা ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ এই শাকটি একদিকে যেমন বহুবিধ রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, অন্যদিকে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


এবার জেনে নিই পুঁই শাকের উপকারিতা সম্পর্কে....


১. প্রবাদে আছে-শাকের মধ্যে পুঁই, মাছের মধ্যে রুই। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, দেহের বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে বাইরে যেতে সাহায্য করে।


২. পুঁইশাকে বিদ্যমান ভিটামিন এ এবং সি, যা ত্বকের রোগজীবাণু দূর করে, শারীরিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে সেইসঙ্গে চুলকেও মজবুত রাখে।


৩. নিয়মিত পুঁইশাক খেলে পাইলস, ফিস্টুলা ও হেমোরয়েড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে খুবই কম।


৪. পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণ আঁশ বা ফাইবার থাকে যা পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।


৫. যারা ব্রণের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য পুঁইশাক খুব ভালো।


৬. পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় এই শাক রোগ প্রতিরোধে বেশ কাজ করে থাকে।


৭. পুঁইশাক দেহ থেকে সঠিক ভাবে বর্জ্য নিষ্কাশন করে বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা দূর করে।


৮. পুঁইশাকের আছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ। শরীরের কোনো অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ফুলে গেলে পুঁইশাকের শিকড় বেটে লাগালে দ্রুত উপশম হয়।


৯. শরীরে খোসপাঁচড়া কিংবা ফোড়ার মতো অনাবশ্যক সংক্রমণের বিরুদ্ধেও লড়তে পারদর্শী পুঁইশাক।


১০. হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পুঁইশাক এর জুড়ি নেই। যাদের প্রায় প্রতিদিনই মাথাব্যথা থাকে, নিয়মিত পুঁইশাক খেলে তারা উপকার পাবেন খুব দ্রুত। তাই পরিবারের সবার স্বাস্থ্য সচেতনতায় প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পুঁইশাক রাখুন।

সর্বাত্মক লকডাউনে কী করা যাবে, কী যাবে না-বাগমারা টাইমস




নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত মানুষের সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।


বুধবার সকালে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।


প্রজ্ঞাপনে ২১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  নির্দেশনাগুলো হলো—


১. সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।


২. সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহণসহ (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) সব প্রকার যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। 


৩. শপিংমল-মার্কেটসহ সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। 


৪. সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। 


৫. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।


৬. বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট আদালতসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।


৭. ব্যাংকিংসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে। 


৮. আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা, যেমন— কৃষিপণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি) খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদান সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে। 


৯. পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক/লরি/কাভার্ডভ্যান/কার্গো ভেসেল এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে। 


১০. বন্দরসমূহ (বিমান, সমুদ্র ও স্থল) এবং এ সংশ্লিষ্ট অফিস এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।


১১. শিল্প-কারখানাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে।


১২. কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠন/বাজার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।


১৩. অতিজরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


১৪. টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকাগ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে।


১৫. খাবারের দোকান ও হোটেল সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (অনলাইন/টেক ওয়ে) করতে পারবে।


১৬. আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকবে এবং বিদেশগামী যাত্রীরা তাদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের টিকিট প্রদর্শন করে গাড়ি ব্যবহারপূর্বক যাতায়াত করতে পারবে।


১৭. স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদে নামাজের বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশনা প্রদান করবে।


১৮. ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠপর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয়সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।


১৯. ম্যাজিস্ট্রেট জেলাপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয়সভা করে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার নিয়োগ এবং টহলের অধিক্ষেত্র, পদ্ধতি ও সময় নির্ধারণ করবেন। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে বিশেষ কোনো কার্যক্রমের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।


২০. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠপর্যায়ে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।


২১. স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তার পক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করবেন।


সীমান্তে মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণের আহ্বান মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের-বাগমারা টাইমস




মোঃ সারোয়ার  হোসেন স্বাধীন, স্টাফ রিপোর্টার।

বাংলাদেশের মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্ত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বুধবার (৩০ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারি, মাদক বেচাকেনা, অর্থপাচার, মানব পাচার এমনকি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল নেটওয়ার্ক। বিশেষ করে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিলে মোবাইল নেটওয়ার্কের অপব্যবহারের বিষয়টি সকলের দৃষ্টি গোচর। এমনকি এই মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে তারা জনসভা করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। আমাদের ও বিভিন্ন মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের লক্ষ্য করা যায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রায় ৮ থেকে ৯ লাখ বাংলাদেশ মোবাইল অপারেটরদের সিম ব্যবহার করছে। আরও ৩ থেকে ৪ লাভ সিম মিয়ানমারের মোবাইল কোম্পানি এমটিপি’র।


তিনি বলেন, আমরা মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের দাবি জানালে সরকার ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধ করে দেয়। ঠিক এরপর থেকেই রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক বেশি করে ব্যবহার করতে শুরু করে। গ্রাহকদের দ্রুত সেবা ও ব্যবসার স্বার্থে মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটর নাফ নদীর পাড়ে মোবাইল টাওয়ার বসায়। বিষয়টি আমরা আলোচনায় আনলে এমনকি গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা বিবৃতি প্রদান করলে দেশের জাতীয় অনলাইন ও জাতীয় পত্র পত্রিকা সমূহ এমনকি বিবিসি তে সেই বক্তব্য প্রচারিত হয়।


মহিউদ্দিন আহমেদ বিবৃতিতে আরও বলেন, বর্তমান সময়ে টেকনাফের স্থানীয় নাগরিকরা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে বিড়ম্বনায় পড়লেও রোহিঙ্গা নাগরিকরা ঠিক ঐ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে। একইভাবে ভারত সীমান্ত ঘেঁষে রিলায়েন্স জিও মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার থাকায় সীমান্ত এলাকার নাগরিকরা সহজেই অন্য দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থ পাচার অপরাধমূলক এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা তথ্য পাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা বিষয়টি দ্রুত আমলে নিয়ে দুই দেশের টেলিকম নিয়ন্ত্রক কমিশন এর আইন অনুযায়ী দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানায় মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।


বাগমারা যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্যোগে মাস্ক বিতরণ-বাগমারা টাইমস






নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

রাজশাহী জেলা পুলিশের নির্দেশনায় বাগমারা উপজেলার যোগিপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্যোগে মাস্ক বিতরণ ও সচেতনতা মূলক প্রচার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (৩০জুন) সকাল থেকে সাধারণ মানুষের মাঝে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এ মাস্ক বিতরণ ও প্রচার কার্যক্রমম অনুষ্ঠিত হয়।


উপ-পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন এর নেতৃত্বে যোগিপাড়া ইউনিয়নের ভাগনদী বাজার ও হামিরকুৎসা ইউনিয়নের কোনাবাড়িয়া, তালঘরিয়া বাজার, পলিথিন বাজার, রাঁয়াপুর, হামিরকুৎসা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় এক হাজার মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরন করা হয়।


এ সময় সাধারণ মানুষদের করোনার সংক্রমন রোধে সকল কে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে আহ্বান জানানো হয়। সেই সঙ্গে সরকারি সকল নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়। এর প্রচার হিসেবে পুলিশ রাস্তায় রাস্তায় বাজারে বাজারে এলাকার জনসাধারন কে ঘরের বাইরে প্রয়োজনে বের হলে মাস্ক পরিহিত অবস্থা ছাড়া বের হওয়া যাবেনা বলে সকল কে অবহিত করেন।


এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, যোগী


পাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক মুশফিকসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।


যোগিপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর কবির হোসেন বলেন, উপজেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা পুলিশের নির্দেশনায় জনসাধারন কে সচেতন করার লক্ষে মাস্ক বিতরণ ও প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

বাগমারা শুভডাঙ্গা ইউনিয়নে অসহায় ও গরীব মানুষের মাঝে জিআর নগদ অর্থ বিতরণ-বাগমারা টাইমস




 

আশিক ইসলাম স্টাফ রিপোর্টারঃ

আজ বুধবার(৩০জুন) সকাল ১০.৩০ মিনিটে শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ টাকা বিতরণ করা হয়।


সরকার অসহায় দুস্থ পরিবারের কল্যাণে সহাযোগিতা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এরই আওতায় শুভডাঙ্গা ইউনিয়নে ২০০ টি পরিবারকে নগদ ৫০০ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

করোনা ভাইরাস জনিত বিধি নিষেধে সাস্থবিধি মেনে টাকা ভাগ করে বিতরণ করা হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে বিতরণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন, ইউপি চেয়ারম্যান আঃ হাকিম প্রাং  

এ সময় ইউপি সচিব আলাউদ্দিন , ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন সবুজ, ইউপি সদস্যবৃন্দ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাগমারায় বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত- বাগমারা টাইমস


ফাইল ফটো



মাহফুজুর রহমান প্রিন্স স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজশাহীর বাগমারায় বজ্রপাতে আলতাফ হোসেন (৩৮) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আলতাফ হোসেন যোগীপাড়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার, সকালে বাড়ির পাশে বিলের জমিতে কাজ করতে যায়। এসময় হঠাৎ করে আকাশে মেঘ জমে গর্জ্জন শুরু হয়। বিকট শব্দে বজ্রপাতের পর জমির পাশে কাজ করতে করতে আলতাফ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এটা দূর থেকে প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়ে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

বাগমারার যোগিপাড়া ইউপিতে অসহায়-দুঃস্থদের মাঝে টাকা বিতরণ- বাগমারা টাইমস



মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারাঃ 

কোভিড-১৯ করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ বাগমারার যোগিপাড়া ইউনিয়নের ২৯৫ জন দরিদ্র অহসায় ও দুঃস্থদের জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে মোট ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫শ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। 


বুধবার (৩০ জুন) উপজেলার যোগিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ট্যাগ অফিসার প্রফুল্ল সরকার, ইউপি সচিব আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান, মহিলা সদস্য সালেহা বিবি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ আলম টনি সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।


বাগমারায় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময়- বাগমারা টাইমস


মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারাঃ


আসন্ন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে উপজেলাব্যাপি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় শুরু করেছেন ভবানীগঞ্জ পৌরসভার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক। বাগমারা উপজেলার সাংসদ ইঞ্জি এনামুল হকের আপন ফুফাত ভাই ও ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডলের বড় ভাই আব্দুল খালেক।

গত ঈদুল ফিতরের পর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সাথে দেখা সাক্ষাত করেন ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজ খবর নেন ও তাদের যথাসাধ্য সাহায্য সহযোগিতা করেন। বুধবার, (৩০ জুন) আব্দুল খালেক তার অনুগত মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে ঝিকরা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কার্যালয় পরিদর্শন ও ঝিকরা এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা মুনছুর আলী, মো: বারু, সেকেন্দোর আলী, আমজাদ প্রাং ও আফজাল হোসেন সহ প্রমূখ। 


বাগমারায় এক ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে রহস্য- বাগমারা টাইমস


মাহফুজুর রহমান প্রিন্স

(স্টাফ রিপোর্টার) বাগমারা: 

রাজশাহীর বাগমারায় হোসেন আলী (৪০) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই যুবকের বাড়ি উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের কোয়ালীপাড়া গ্রামে। তার পিতা মৃত সলিম উদ্দিন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ তার শোয়ার ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী চাম্পা (৩৮) কে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে।


পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, হোসেন আলী প্রায় ১৫/১৬ বছর আগে উপজেলার চাঁইপাড়া গ্রামে বিয়ে করে। বিয়ের পর তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান হয়। ইতিমধ্যে মেয়ের দুই মাস আগে বিয়ে দেয়া হয়। পারিবারিক জীবনে স্বামী-স্ত্রী প্রায় বিবাদ লেগে থাকতো। সোমবার রাতের খাবার খেয়ে উভয়ে ঘুমাতে যায়। তবে উভয়ে একই ঘরে থাকার কথা থাকলে ওই দিন তারা ভিন্ন ঘরে ঘুমায়। সকালে স্ত্রী বাইরে বের হলে প্রতিবেশী তাদের বাড়ির সামনে পানিবদ্ধতার খবর ও নিরসন করতে বলে। এতে স্ত্রী তার স্বামীকে ঘরে গিয়ে মৃত অবস্থায় দেখে কান্নাকাটি শুরু করে। পরে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দিলে পুলিশ হোসেন আলীর মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে সুরুতহাল রিপোর্টের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।


এ ব্যাপারে বাগমারা থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ জানান, স্থানীয়দের খবরে পুলিশ ঘটনার স্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এবং তার লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী চাম্পাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। লাশ পোষ্টমডেম রিপোর্টে তার মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে জানান তিনি।

বাগমারার গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা, রোগিকে ভর্তি না করে দেওয়া হয় ফিরিয়ে


মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারাঃ 

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বাগামার গ্রামাঞ্চলে আছড়ে পড়লেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদাসীন সাধারণ লোকজন। এছাড়া গ্রামাঞ্চলের ঘরে ঘরে সাধারন লোকজন জ্বর সহ সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হলেও ভয়ে করোনা টেস্ট করতে আসছেন না অনেকে। এতে করে করোনা সংক্রামন বেড়ে যাওয়ার আশংঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের অব্যবস্থাপনা, বিশ্রী নোংরা পরিবেশ ও ডাক্তারদের অবহেলার কারণেও সেখানে করোনার উপসর্গ নিয়ে রোগিরা যেতে ও চিকিৎসা নিতে আগ্রহী হচ্ছে না বলে অনেকের অভিযোগ। 


রাজশাহীর বৃহত্তম উপজেলা বাগামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থানীয় সাংসদ ইঞ্জি এনামুল হকের প্রচেষ্টায় ৩০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পালস, অক্রিমিটার ও অক্রিজেন সহ করোনা পরীক্ষার কীট সহ আনুসাঙ্গিক চিকিৎসা সরঞ্জাম থাকলেও এই হাসপাতাল মুখী হতে রোগিদের অনীহার কারণটি রহস্যজনক। অথচ এই হাসপাতালের ৪ কি:মি: দূরে উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জে একের পর এক ব্যাঙ্রে ছাতার মত গজিয়ে উঠছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সেখানে গলাকাটা ফি দিয়ে রোগিরা চিকিৎসা নিলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নাম মাত্র মূল্যে এমনকি বিনামূল্যেও চিকিৎসা নিতে যায় না সাধারন রোগিরা। এখানে নানা রকম অব্যবস্থাপনা ও ডাক্তারদের অবহেলার কারণে তারাই রোগিদের ওইসব নামসর্বস্ব ক্লিনিকে যেতে বাধ্য করে থাকে। 


গতকাল, বুধবার (৩০ জুন) বেলা এগারোটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ সরেজমিন ঘুরে সেখানে অবস্থানরত রোগি তাদের স্বজন ও কর্মরত ডাক্তারদের সাথে কথা বলে এমন ভয়াবহ চিত্রই পরিলক্ষিত হয়েছে। 


বৃহৎ এই উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা এলাকায় করোনা উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৭ জন রোগি মারা যাচ্ছে এবং গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে সর্দি জ্বর কাশি সহ করোনার বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত শতাধিক ছড়িয়ে পড়লেও ২৫ শয্যার বাগমারা মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে রোগি ভর্তি রয়েছে মাত্র ৮ জন। এই ৮ জনের মধ্যে ৩ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ায় তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানালেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: গোলাম রাব্বানী। তিনি আরো জানান, আমরা করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগিদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করেছি এবং করোনা পজিটিভ হলে তাদেরকে রাখার ব্যবস্থা সহ যেসব রোগিদের অবস্থা ক্রিটিক্যিাল তাদেরকে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা থাকলেও রোগিরা হাসপাতাল মুখি না হওয়ায় আমাদের সে সব বেড ফাঁকা পড়ে রয়েছে। তবে এর আগে এই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড থেকে তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগি পালিয়ে যাওয়ায় তা নিয়ে তোলপাড়া শুরু হয়। এ নিয়ে একটি অনলাইনে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। মূলত করোনা ওয়ার্ড সহ সাধারণ ওয়ার্ডের চরম অব্যবস্থাপনা, ময়লা নোংরা পরিবেশ খাবারের মান অতি নিম্ন এবং বিছানা বালিস অতি নোংরা এবং সেগুলো দিয়ে দূর্গন্ধ বের হওয়ার কারণে এই হাসপাতালে করোনা উপসর্গ সহ অন্যান্য রোগিরা আসলেও তারা একদিনেই অতিষ্ঠ হয়ে হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য হয়। 


এখানকার করোনা ওয়ার্ডের একই অবস্থা। সেখানে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ওয়ার্ড থেকে। অথচ এই করোনা ওয়ার্ড পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সুসজ্জিত ও আধুনিক মানসম্পন্ন করার জন্য সরকারি তিন লক্ষ টাকা বরাদ্দ আসলেও সেখানে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তবে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ভিন্ন মত পোষণ করে বলেছেন এই বরাদ্দ শুধু করোনা ওয়ার্ডের জন্যই নয় এই বরাদ্দ থেকে করোনার সেম্পল আনা নেওয়া, রোগিদের চিকিৎসা, ডাক্তার ও নার্সদের ওভারটাইম সম্মানী সহ হোটেলের খাওয়া খরচ সহ অনুসাঙ্গিক খাতে খরচ করা হয়েছে। এখানে কোন অনিয়ম বা অর্থের অপচয় করা হয়নি। 


অভিযোগ রয়েছে এখানে করোনা রোগিরা আসলে তাদেরকে ভর্তি না নিয়ে বারান্দায় ফেলে রাখা হয়। পরে রোগির স্বজনরা অপেক্ষায় থেকে থেকে কোন উপায় অন্তর না পেয়ে বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হন। বুধবার, বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে এই হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসেন ভবানীগঞ্জ পৌরসভার দানগাছি মহল্লার আবুল কাসেম (৭০)। তিনি ভয়ানক শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসলেও তাকে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে জানান তার দুই ছেলে সালাম ও শামীম। পরে তারা তাদেরকে পিতাকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে করোনা সহ শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা দিচ্ছেন। অথচ এই হাসপাতালেই অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে ২৫ টি অক্রিজেনের সিলিন্ডার। এসব সিলিন্ডার রেখেই শ্বাসকষ্টের রোগি ৭০ বছরের বৃদ্ধ আবুল কাসেমকে ফিরিয়ে দেওয়া হল যা অমানবিকতারই পরিচয়। 



আদৌ কি এই হাসপাতালে করোনার রোগিরা চিকিৎসা পচ্ছেন না কি চিকিৎসার নামে তারা কেবলই হয়রানী ও প্রতারনার শিকার হচ্ছেন এই প্রশ্ন আজ ঘুরে ফিরে আসছে রোগি ও তাদের স্বজনদের মনে। এখানে করোনা রোগিদেরে কি চিকিৎসা দিচ্ছেন এমন বিষয়ে জানতে চাইলে টিএইচও ডা: গোলাম রাব্বানী বলেন , এটা সাধারনত আমরা প্রকাশ করি না। করোনার যেসব উপসর্গ শ্বাসকষ্ট, সর্দি জ্বর গলা ব্যাথা জিহবায় স্বাদ না থাকা সহ বিভিন্ন উপসর্গের ধরন ও মাত্রা বুঝে আমরা চিকিৎসা দিয়ে থাকি। আবাসিক চিকিৎিসক ডা: নাসির উদ্দিন জানান, আমরা চাই রোগিরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করুক এবং হাসপাতাল ছেড়ে যাক। 


হাসপাতালটির পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সহ থাবার দাবার চিকিৎসা সেবার মান নিম্নগামি হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: গোলাম রাব্বানী বলেন, আমি সহ একজন আবাসিক চিকিৎসক দুই জন কনসালটেন্ট ও আটজন মেডিকেল অফিসার সহ মোট ১২ জন কর্মরত রয়েছে। বর্তমানে ২০ জন নার্স থাকলেও ৪জনকে রাজশাহী মেডিকেল কর্তৃপক্ষ নিয়ে গেছে। এই স্বল্পসংখ্যক ডাক্তার ও নার্স দিয়ে বিশাল এই জনগোষ্টিকে স্বাস্থ্য সেবা দিতে আমরা সদা সচেষ্ট রয়েছে। এটা একটা চ্যালেঞ্জ। এখানে করোনা নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। লোকজন করোনা টেষ্ট করতে আগ্রহী নয়। এছাড়া এখানে টিকার পারসেনন্টেজও খুব কম। গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম টিকা প্রদান কর্মসূচী শুরু করার পর প্রথম ডোজ ১০ হাজার ৪শ ৪৬ জন এবং ২য় ডোজ ৪ হাজার ৮শত ৩৩ জনকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। 



রামেক হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ২৪ ঘন্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু-বাগমারা টাইমস





নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে আরো ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫ জন ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৭ জন।


বুধবার (৩০ জুন) সকালে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৭ জন ও নারী ৫ জন রয়েছেন। এরমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহীর ৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন ও নওগাঁর একজন মারা গেছেন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন রাজশাহীর ৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন ও নাটোরের একজন।


রামেক পরিচালক বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৭ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। অন্যদিকে, মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে ৪৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় ২০১ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। দুই ল্যাবের টেস্টে মোট ৬৪৩টি নমুনায় ২৪৮ জনের করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ০৬ শতাংশ।


উল্লেখ্য, চলতি মাসে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এ নিয়ে মোট ৩৫২ জনের মৃত্যু হলো। এর আগে গত, ২৯ জুন সর্বোচ্চ ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

আপনার একটু সচেতনতাই বাঁচতে পারে শিশুটির প্রাণ-বাগমারা টাইমস





নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

এখন বর্ষাকাল। চারদিকে পানি থৈথৈ করছে। এর মধ্যে আপনার একটু অসচেতনতাই ঘটতে পারে বড় দূর্ঘটনা। আমি আপনি সবাই আমাদের আদরের সন্তানকে ভালোবাসি। কিন্তু এই ভালোবাসা শেষ হতে পারে সামান্য অসচেতনতাই। শিশুরা পানিতে খেলতে অনেক পছন্দ করে। কিন্তু এই পানি একসময় মৃত্যু ডেকে আনে।


“বন্যার মধ্যে মানুষ তার পশু-পাখিসহ সব সম্পদ রক্ষা করতে পারলেও সবচেয়ে বড় সম্পদ প্রিয় সন্তানকে আগলে রাখতে পারছে না।”

পানিতে ডুবে মৃত্যু সারা বিশ্বে আঘাতজনিত কারণে শিশুমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছর তিন লাখ ৫৯ হাজার ৪০০ জন ব্যক্তি পানিতে ডুবে মারা যান। এদের ২০ শতাংশের বয়স পাঁচ বছরের কম। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হারে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম। বাংলাদেশে এক থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের মোট মৃত্যুর ৪৩ শতাংশের জন্য দায়ী পানিতে ডুবে যাওয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, দেশে প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। এদের মধ্যে ৩২ জনই চার বছরের কম বয়সী। এ ছাড়া পানিতে ডোবার কারণে আরো ১৩ হাজার শিশু স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করে। এক লাখ শিশু পানিতে ডোবার কারণে বিভিন্নভাবে আহত হয়।


এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা গেছে, দিনের প্রথমভাগে শিশুদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রাখা হলে বাংলাদেশে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ রোধ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে গ্রামভিত্তিক শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র সফলভাবে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধে কার্যকর। পাশাপাশি এ গ্রামভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্যও সহায়ক। এ ধরনের দিবাযত্নের ব্যবস্থা বাংলাদেশের মতো অন্যান্য নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার দূরীকরণে বিশেষ অবদান রাখতে পারে।


তাই আপনাদের সন্তানকে নিজের দায়িত্বে নজরদারি করা অত্যাবশ্যক। এসময় যেন আপনার সন্তান ঘরে থাকে সেজন্য ঘরোয়া খেলনা কিনে এনে শিশুদের খেলায় মগ্ন রাখতে হবে। ছেলে মেয়ে কোথায় যাচ্ছে তার দিকে সর্বাদিক গুরুত্ব দিতে হবে। মনে রাখা অত্যাবশ্যক "একটি দূর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না"।

বাগমারার ফার্মেসী গুলোতে দেখাদিয়েছে নাপা ওষুধের সংকট-বাগমারা টাইমস





নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

রাজশাহী বাগমারা উপজেলা ১৬ টি ইউনিয়ন ২ টি পৌরসভা বাজারে গুলোতে ওষুধের ফার্মেসীগুলোতে  জ্বরের ওষুধ বেক্সিমকো গ্রুপের নাপা ওষুধ চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকটি ওষুধের দোকানদার এমন তথ্য জানিয়েছেন। ফলে সাধারণ মানুষ পড়েছেন বিপাকে।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহর ও গ্রামের মানুষ ঠান্ডা ও গরম লাগার কারণে ঘরে ঘরে জ্বর, খুসখুসে কাশি ও ঠান্ডায় আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে গেলে জ্বরের জন্য নাপা, ঠান্ডা-গরম লাগলে ফেকসো খেতে বলছেন। অথচ বাজারে চাহিদা অনুযায়ী ফেকসো ওষুধ পাওয়া গেলেও বেক্সিমিকো কোম্পানির নাপা ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ওষুধ কিনতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। ওষুধ না পাওয়ায় তাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।


মঙ্গলবার (২৮ জুন) বাজারের কয়েকটি ওষুধের দোকান ঘুরে দেখা গেছে অনেকে নাপা কিনতে এসেছেন। কিন্তু পাচ্ছে না।


এক ব্যক্তি বলেন, তার জ্বর হয়েছে, ডাক্তার নাপা ওষুধ খেতে বলেছেন। তাতে জ্বর ভাল না হলে নাপা এক্সট্রা খেতে হবে। কিন্তু দোকানে নাপা  পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য কোম্পানির ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। নাপা পাওয়া না গেলে অন্য কোম্পানির ওষুধ খাবো।


তাহেরপুর বাজারের হরিতলা মোড়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ওষধের দোকানদার জানান, মানুষের চাহিদা অনুযায়ী নাপা গ্রুপের ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না আমার কাছে কিছু নাপা আছে ২৫ টাকা পাতা হিসাবে নিলে আমি বিক্রি করছি । তবে অন্য গ্রুপের ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে।

জোকাবিলে হামলা ও ভাংচুরের প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ- বাগমারা টাইমস





মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারাঃ

গত, ২৭ জুন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম সহ কয়েকটি পত্রিকায় বাগমারার জোকাবিলে আ'লীগের দুই গ্রুপে উত্তেজনা হামলা ও ভাংচুরের শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এক প্রতিবাদ লিপিতে বাসুপাড়া ইউনিয়ন আ'লীগের সদস্য ও বিশিষ্ট মৎসজীবি মো: জাবের আলী আলোচ্য নিউজে তাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবী করে বলেন, জোকা বিলটি নরদাশ ইউনিয়নে অবস্থিত।


ওই বিলে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে কথিত দ্বন্দ্ব হাঙ্গামার সাথে আমি কোন ভাবেই জড়িত নই। সেখানকার ঘটনা সম্পর্কে আমি বিন্দুমাত্র অবগত নই। সেখানে কে বা কাহারা আমার প্রতি হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ে আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিত ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এবং আমার বক্তব্য না নিয়ে যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করেছে আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 



প্রতিবাদকারী: 

মো: জাবের আলী

সদস্য, বাসুপাড়া ইউপি আ'লীগ ও 

মৎসজীবি, বাসুপাড়া, বাগমারা, রাজশাহী।

গোয়ালকান্দি ইউপির আ’লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সজল সরকারসহ ৪ যুবক ফেনসিডিলসহ আটক-বাগমারা টাইমস






নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

অবশেষে পুলিশের হাতে ভারতের তৈরি ফেন্সিডিলসহ ভাগ্নে লিটন হোসেন (৩৬) ধরা পড়েছেন। এ সময় তাঁর এক সহযোগী পালাতে সক্ষম হলেও পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ১৪ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।


আটক হওয়া অন্যরা হলেন উত্তরএকডালা গ্রামের মশিউর রহমান (৩৫), রামরামা গ্রামের সজল সরকার (২৮), সূর্য্যপাড়া গ্রামের রাজু আহম্মেদ (২১) ও চানপাড়ার নূর আলম (৩৬)।


এ সময় দেউলা গ্রামের আলতাফ হোসেন (৩৮) নামের আরেকজন পালিয়ে যান। এর আগে গত ৯মার্চ ভাগ্নের আস্তানা থেকে র‌্যাব ফেন্সিডিলসহ কয়েকজনকে ধরলেও লিটন পালিয়ে যান। লিটন হোসেন উপজেলার নরসিংহপুর গ্রামের নাদিরুজ্জামানের ছেলে। এলাকায় তিনি ভাগ্নে লিটন হিসাবে পরিচিত। 


বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, সোমবার (২৮ জুন) রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জে মাদকসহ কয়েকজন যুবক ঢুকবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি ছদ্মবেশি দল দেউলা চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থান নেয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে একটি মাইক্রোবাস চৌরাস্তায় পৌঁছালে পুলিশ তা থামিয়ে দেয়। এসময় পুলিশ মাইক্রোবাসে থাকা যুবকদের চ্যালেঞ্জ করে। পরে সেখানে তল্লাসি শুরু করে। এসময় মাইক্রোবাসের ভেতরে থাকা আলতাফ হোসেন নামের একজন ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ মাইক্রোবাসের ভেতরে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা একটি থলে থেকে ১৪ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রাতেই পলাতক আলতাফ হোসেনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার, ২৯ জুন, দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।


এর আগে গত, ৯ মার্চ র‌্যাবের একটি দল সাংসদের ভাগ্নের ভবানীগঞ্জের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার ফেন্সিডিলসহ আটক করে। তবে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে লিটন পালিয়ে যান।

রামেক হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে ২৫ জনের মৃত্যু-বাগমারা টাইমস





নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গেলে ২৪ ঘণ্টায়  ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮ জুন) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার (২৯ জুন ) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের মধ্যে তারা মারা যান।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃত ২৫ জনের মধ্যে ৯ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। আর ১৬ জন ভর্তি ছিলেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ১২ জন , ৫ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ও নাটোরের ৫, নওগাঁ ২ ও চুয়াডাঙ্গার  ১ জন করে।  এ নিয়ে চলতি মাসের ২৯ দিনে (১ জুন সকাল ৮টা থেকে ২৯ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ৩৪৩ জন।  

রামেক হাসপাতাল পরিচালক শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭০ জন। সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪৫৯ জন।  রামেক হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা ৪০৫টি।

পেয়ারা'র পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা-বাগমারা টাইমস






স্বাস্থ্য ডেক্সঃ

আমাদের দেশের প্রায় সকলেরই পেয়ারা বেশ পছন্দের একটি ফল। দেশী ফলগুলোর মধ্যে পেয়ারা পুষ্টিগুণে ভরপুর, বেশ সুস্বাদু এবং জনপ্রিয় একটি ফল। সাধারণ এবং সহজলভ্য এই ফলটির পুষ্টিগুণ অনেক। ফল হিসেবে, ভর্তা করে, এমনকি জেলী বানিয়ে খাওয়া যায় মজাদার এই ফলটি। অনেকে পেয়রা সহজলভ্য বলে অবহেলা করে থাকেন, খেতে চান না। কিন্তু এর মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান ও গুণাবলী গুলো জানলে পেয়ারাকে আর কখনোই উপেক্ষা করবেন না।


প্রতিদিন মাত্র ১ টি পেয়ারা আপনার নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা খুব সহজেই দূর করে দিতে পারে। পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ। এছাড়া ভিটামিন বি২, ই, কে, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম রয়েছে। এর উচ্চমাত্রার ভিটামিন-এ ও সি ত্বক, চুল ও চোখের পুষ্টি জোগায়, ঠান্ডাজনিত অসুখ দূর করে। আসুন, পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই...




পেয়ারার পুষ্টিগুণ:

পেয়ারা নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারাতে রয়েছে- খাদ্যশক্তি ৬৮ কিলোক্যালরি, আমিষ ২.৫৫ গ্রাম, শর্করা ১৪.৩ গ্রাম, ফাইবার ৫.৪ গ্রাম, কোলেস্টেরল ০ মিলিগ্রাম, চর্বি ০.৯৫ গ্রাম, ভিটামিন এ ৬২৪ আইইউ, ভিটামিন সি ২২৮ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৪১৭ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ২ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২২ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১১ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.২৬ মিলিগ্রাম, জিংক ০.২৩ মিলিগ্রাম, লাইকোপেন ৫২০৪ মাইক্রোগ্রাম।


পেয়ারার উপকারিতা:

(১). ভিটামিন সি সমৃ: পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এবং এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এটি কোষকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া পেয়ারায় অবস্থিত ভিটামিন সি বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে৷


(২). রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত ভাবে লাইকোপিন সমৃদ্ধ গোলাপি পেয়ারা খেলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমায়। তাছাড়া পেয়ারা ট্রাইগ্লিসারাইড এবং LDL নামক একটি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় যার ফলে হার্টের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।


(৩). ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য পেয়ারা দারুণ উপকারী। পেয়ারার ফাইবার দেহে চিনি শোষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেয়ারার রসে থাকা উপাদান ডায়াবেটিস মেলাইটাসের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে পেয়ারা পাতাও বেশ কার্যকর। পেয়ারাতে প্রচুর ফাইবার এবং কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকার কারণে এটি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে আর তাই ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুকি কিছুটা কম থাকে।


(৪). রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগের সাথে যুদ্ধ করার শক্তি প্রদান করে। তাছাড়া যে কোন ইনফেকশন থেকে পেয়ারা শরীরকে সুস্থ রাখে।


(৫). ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে: পেয়ারাতে লাইকোপিন, ভিটামিন সি, কোয়ারসেটিন এর মত অনেকগুলো উপাদান রয়েছে যা শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে আর এই এন্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুকি কমায় এবং শরীরের ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে। বিশেষ করে এটি প্রোসটেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।


(৬). দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে: পেয়ারাতে ভিটামিন এ আছে আর ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন এ কর্নিয়াকে সুস্থ রাখে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। তাছাড়া এটি খেলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়। কাঁচা পেয়ারা ভিটামিন এ এর ভাল উৎস।


(৭). ওজন কমায় এবং ত্বক সুস্থু রাখে: পেয়ারা খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন খুব সহজেই ঝড়ানো যেতে পারে৷ যাদের ওজন অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তারা পেয়ারা খেতে পারেন৷ পেয়ারা ত্বককে ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে রক্ষা করে। ত্বক, চুল ও দাঁতের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।


(৮). গর্ভবতী মায়ের জন্য: পেয়ারা গর্ভবতী মায়েদের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। পেয়ারায় বিদ্যমান ফলিক অ্যাসিড গর্ভের শিশুর স্নায়ুতন্ত্র গঠনে ভূমিকা রাখে এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ প্রতিহত করে।


এছাড়া পেয়ারা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ও লাইকোপিন রয়েছে। এর ফলে রক্ত পরিষ্কার হয় ও ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়। পেয়ারা চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পেয়ারা নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। ভিটামিন সি থাকার কারণে সাধারণ সর্দি-কাশি দূর করতেও সাহায্য করে পেয়ারা।

বাগমারায় ২ বছর বয়সী শিশুকে শ্বাসরুদ্ধকরে হত্যা করেছে পিতা-বাগমারা টাইমস



ঘাতক পিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় দুই বছর বয়সী এক শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বাবা পাশেই শুয়ে ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

অভিযুক্ত বাবা সোহেল রানাকে (২৯) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল, রোববার রাতে উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের মন্দিয়াল গ্রাম থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বজনদেরও দাবি, সোহেল তাঁর ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। নিহত শিশুটির নাম মিনহাজ হোসেন। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সোহেল রানা উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের মন্দিয়াল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। আর সোহেলের স্ত্রী চম্পা খাতুন বাকপ্রতিবন্ধী। 


স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরের খাবার শেষে ঘরে শিশু মিনহাজকে ঘুমিয়ে রেখে তার মা চম্পা খাতুন বাড়ির বাইরে যান। এ সময় মিনহাজের সঙ্গে তার বাবা সোহেল রানাও শুয়ে ছিলেন। বিকেলে চম্পা খাতুন রাতের খাবার রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় সোহেল রানা ঘর থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে রান্নায় সহায়তা করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মিনহাজ ঘুম থেকে না জাগলে চম্পা তাকে জাগাতে ঘরে যান। ছেলের কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে দেখেন মিনহাজ মারা গেছে।

এ ঘটনায় সোহেল রানার অস্বাভাবিক আচরণ ও অসংলগ্ন কথাবার্তায় স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে সোহেলকে আটকে করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। 


চম্পা খাতুন ইশারা-ইঙ্গিতে জানান, তাঁর স্বামী সোহেল রানাই ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। স্বজনদের ধারণা, মুঠোফোনে কোনো মেয়ের সঙ্গে সোহেল রানার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ছেলে না থাকলে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া ও নতুন বিয়ে করা সহজ হবে। এমন ধারণা থেকে ছেলেকে তিনি হত্যা করে থাকতে পারেন। 


বাগমারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল রানা ক্ষোভে ছেলেকে গলাটিপে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। হত্যার পর ছেলের পাশেই শুয়ে ছিলেন তিনি। তবে কী কারণে হত্যা করেছেন, তা বলেননি। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করেছে।

বাগমারায় আ’লীগ নেতার ফেন্সিডিল সেবনের ভিডিও ভাইরাল- বাগমারা টাইমস






মাহফুজুর রহমান প্রিন্স স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা: 

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান সরকার এর ফেন্সিডিল সেবনের একটি ভিডিও সোমবার (২৮ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আগর আলী নামের একটি ফেসবুক আইডিতে ওই ভিডিও পোস্ট করা হয়। এরপর বিপুল সংখ্যক শেয়ার হলে সোমবার দুপুরেই ভাইরাল হয়ে যায় এটি। 


মাহাবুর রহমান সরকার গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ০৯ নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য এবং ওই ওয়ার্ড আ’লীগেরও সভাপতি। একজন রাজনৈতিক নেতা এবং জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্বেও তার ওই মাদক সেবনের ভিডিও এলাকায় সমালোচনার ঝড় তুলেছে। 


ভিডিওতে দেখা যায়, সম্প্রতি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া শিকদারী এলাকার মাদক ব্যবসায়ী মাহাবুর এর বাড়ির ভেতর বারান্দায় চৌকিতে বসে ফেন্সিডিল সেবন করছে আ’লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য মাহাবুর সরকার। এরপর সেখান থেকে উঠে তিনি জানালার তাকে রাখা একটি জগ হাতে নিয়ে আবার রেখে দেয়। এরপর বাড়ির মালিক মাদক ব্যবসায়ী মাহাবুর আরো একটি ফেন্সিডিলের বোতল থেকে আরেক বোতলে ঢেলে দেয় ইউপি সদস্য মাহাবুর সরকার কে। তিনি সেটিও সেবন করলেন দাঁড়িয়ে থেকে এমন দৃশ্য ভিডিওতে  দেখা যায়। ফেসবুক আইডিতে তার ওই ভিডিও আপলোড করে তাকে গ্রেফতার এবং দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানিয়ে স্ট্যাটাস দেয়া হয়। তিনি ক্ষমতার দাপটে বাগমারাকে মাদকের আখড়া বানিয়েছেন এমন কথাও উল্লেখ করা হয় ওই স্ট্যাটাসে। 


এদিকে একজন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে মাদক সেবী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান আ’লীগ নেতৃবৃন্দ। তিনি দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন বলে তারা দাবি করেছেন। এর আগে এক কৃষকলীগ নেতাকে গাঁজা চাষের দায়ে পুলিশ গ্রেফতার করলে পরে দলীয় ভাবে তাকে বহিস্কার করা হয়। 


এদিকে অভিযুক্ত আ’লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য মাহাবুর রহমান সরকার তার ‘মাহাবুর সরকার মেম্বার’ নামীয় ফেসবুক আইডিতে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানান। তিনি তার দেয়া স্ট্যাটাসে দাবি করেন, আমাকে রাজনৈতিকভাবে দূর্বল করার জন্য একটি ফেকআইডি থেকে সুপার এডিট করে আমার নামে যে মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 


এ ব্যাপারে গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক বকুল খরাদি জানান, আমরাও মাহাবুর মেম্বরের ওই রকম ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। দলীয় ভাবে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। মাদকের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে উপজেলা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে তার বিষয়ে সাংগঠনিক ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে ।


গোয়ালকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সরকার জানান, এর আগে লোক মুখে তার মাদক সেবনের কথা শুনেছি। বর্তমানে ভিডিওতে দেখলাম। তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

ভিডিও


বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফ আহমেদ জানান, এক্সপার্ট দিয়ে ওই ভিডিও পরীক্ষা নিরিক্ষা করে ঘটনার সত্যতা পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাগমারায় মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলীর ইন্তেকাল- বাগমারা টাইমস




 

মাহফুজুর রহমান প্রিন্স স্টাফ রিপোর্টার,বাগমারা


রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের ঝিকরা (রাজারামপুরপাড়া) গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আকবর আলী প্রাং আজ সোমবার, সকাল ৬ ঘটিকার সময় নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে---- রাজেউন)।


মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ পুত্র ও ৪ কন্যা সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সোমবার বেলা ২ ঘটিকার সময় নিজগ্রামে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। 


মরহুমের জানাযায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান, বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ ফৌজদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আফজাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা দবির উদ্দিন, আহাদ আলী, আশেক আলী, আব্দুস সামাদ সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

আলো-ছায়া সাংস্কৃতিক একাডেমিকে রুম উপহার দিলেন মেয়র কালাম-বাগমারা টাইমস





নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

গান পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া দুর্বিষহ, কেউ পছন্দ করেন রবিন্দ্রনাথ এর গান, কারও পছন্দ দেশের গান, কারো ডিজে আবার কারও বা পছন্দ রিমিক্স গান। সকল গানের উৎস সাংস্কৃতিক বিনোদন এর মধ্যে অন্যতম। সময়ের পরিবর্তনে কারণে বিভিন্ন আয়োজন, বিনোদন প্রেমী যারা তাদের মনের মাঝে লুকিয়ে থাকা গান গেয়ে মনকে শান্ত করে রাখে। 



এই ধারাবাহিকতা রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা তাহেরপুর গড়ে ওঠেছিলো ‘আলো-ছায়া সাংস্কৃতিক একাডেমি’ যা তাহেরপুর কলেজের একটি রুমে স্থান পায়। করোনা পরিস্থিতি ও দীর্ঘ দিন স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকার নানা কারণে তাদের উক্ত রুম পরিত্যক্ত করতে নিদেশনা দেন কলেজ প্রশাসন।


গত, ২৫ জুন ‘আলো-ছায়া সাংস্কৃতিক একাডেমি’এর সকল কিছু বিনোদন কার্যক্রম (ক্লাব) বন্ধ হয়ে যায়।  আলোছায়া’র পরিচালক ও সকল কিছু কার্যক্রমের নির্ধারক শিক্ষক মাসুদ রানা এমন পরিস্থিতিতে তিনি হতাশা দুশ্চিন্তায় পড়েন।  


অবশেষে আজ রবিবার, (২৭ জুন) সন্ধ্যার পূর্ব মূহুর্তে তাহেরপুর পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ 

তাহেরপুর পৌরসভায় চলমান সাংস্কৃতিক চর্চাকে গতিশীল করার লক্ষ্যে এবং যুবসমাজকে সাংস্কৃতিক চর্চায় উদ্বুদ্ধ করা জন্য শেখ রাসেল পৌর অডিটোরিয়ামে আলো-ছায়া সাংস্কৃতিক একাডেমির জন্য একটি রুম বরাদ্দ নিশ্চিত করেছেন।


মাদক নয়, সাংস্কৃতিকভাবে নিজেকে ভালো রাখা ও তাহেরপুর সাংস্কৃতিক প্রেমীদের তাদের বিকাশ ঘটাতে ঘরটি ব্যবহারে বরাদ্দ করেন। 


আলো-ছায়া সাংস্কৃতিক একাডেমি এর পরিচালক মাসুদ রানা বলেন, সংস্কৃতি সমাজ এবং দেশের আর দেশটা আমাদের সকলের। আমরা ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও সংস্কৃত প্রেমী জনসাধারণ মেয়র মহোদয়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন এবং আগামীতে আরো সুন্দর ভালো ও মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক নানা বিষয় সবার সামনে উপহার দিবেন। সর্বোপরি মাদক মুক্ত জীবন পরিহার করে আলোছায়া আলোতে আলোকিত করতে কাজ করতে বদ্ধ পরিকর থাকবে।

রাজশাহী ডিআইজি’র তাহেরপুর পরিদর্শন- বাগমারা টাইমস





মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: 

রাজশাহী বিভাগের রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন বিপিএম (বার) রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী স্থান দূর্গাপূজার উৎপত্তিস্থল রাজা কংস নারায়নের স্মৃতিবিজড়িত তাহেরপুর পৌরসভা পরিদর্শন করেছেন। ডিআইজি আব্দুল বাতেন তাহেরপুরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা পরিদর্শন শেষে তাহেরপুরের মেয়র আবুল কালামের মৎস চাষ প্রকল্প দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। 




তিনি বলেন, তাহেরপুর একটি ঐতিহাসিক স্থান। আমি রাজশাহীতে যোগদানের তিন দিনের মাথায় তারেপুরে দূর্গাপূজা দেখতে এসেছিলাম। আজ মেয়র আবুল কালামের আমন্ত্রণে সেই তাহেরপুরে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এখানে মেয়র সাহেবের মৎস চাষ প্রকল্প দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। এই প্রকল্পে ১৫ থেকে ২০ কেজি ওজনের রুই কাতলা চাষ করা হয়েছে। এই প্রকল্প একটি মডেল। এর মাধ্যমে মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে সেই সাথে দেশের উৎপাদনও বাড়ছে। মেয়রের এই প্রচেষ্টা এলাকার শিক্ষিত বেকারদের জন্য একটি অনুসরনীয় দৃষ্টান্ত। পরে তিনি মৎস চাষ প্রকল্পের একটি দিঘীতে হুইল দিয়ে মাছ শিকার করেন। 


শনিবার, দুপুরে বারোটার দিকে ডিআইজি আব্দুল বাতেন তাহেরপুর মেয়রের নিজ মহল্লা জামগ্রামে পৌছান। এ সময় তাঁকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে স্বাগত জানান তাহেরপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। এ সময় ডিআইজি’র সফর সঙ্গী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব ভদ্র, রাজশাহীর পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম, পিপিএম, বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ, ওসি তদন্ত আফজাল হোসেন, তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক, তাহেপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র বাবুল খাঁ, কাউন্সিলর এরশাদ আলী, কার্তিক সাহা, মিন্টু সহ ভবানীগঞ্জ সকরারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাদিরুজ্জামান মিলন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, উপজেলা কৃষক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক সহ পৌর আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বাগমারার জোকাবিলে আ’লীগের দুই গ্রুপে উত্তেজনা হামলা ও ভাংচুর-বাগমারা টাইমস





নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

রাজশাহীর বাগমারার সেই জোঁকাবিলে মাছ চাষ কে কেন্দ্র করে স্থানীয় আ’লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আবারো উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে ওই বিলে মাছচাষের জন্য ঘিরে দেওয়া বাঁশের বেড়া (বানা) কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা। আ’লীগ নেতা জাবের আলী বাহিনীর নেতৃত্বে ৫০-৬০জনের একটি দল বেড়া কেটে ফেলে বলে অভিযোগ করা হয়। এই ঘটনায় পাল্টা প্রতিশোধ হিসাবে প্রতিপক্ষের পোল্ট্রি খামারে হামলা করা হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়। নেতৃত্বে এক পক্ষে রয়েছেন আ’লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ অপর পক্ষে রয়েছেন আ’লীগ নেতা জাবের আলী।  এর আগে এই বিলে মাছচাষের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মৎস্যচাষ প্রকল্পের কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমানকে (৬২) ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। 


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের জোঁকাবিলে স্থানীয় মৎস্যজীবি ও লোকজন মিলে মাছচাষ করে আসছেন। বিলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুটি পক্ষের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলার মৎস্যচাষ প্রকল্পের কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমানকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর স্থানীয় প্রশাসন উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে তাদের মধ্যে সমঝোতা করে দেয়। রাজশাহীর পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ওই সমঝোতা হয়। সেখানে তৃতীয় পক্ষের নিরপেক্ষ ব্যক্তি হিসাবে নরদাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রশিদকে প্রকল্পের সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। চলতি বছরের আগস্ট মাসে এই কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। 

এর মধ্যে আবারো আবদুর রশিদকে সভাপতি করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে আনিসুর হত্যা মামলার আসামিদের একটি অংশ আবারো বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। তারা জাবের বাহিনীর প্রধান জাবের আলীর নেতৃত্বে বিলটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এদের সঙ্গে হাটমাধনগর গ্রামেরও কিছু লোক যোগ দেয়। 

তবে বিশৃংখলা এড়াতে সম্প্রতি পানিয়া, গোড়সার, বাসুদেবপাড়া ও কাষ্টনাংলা গ্রামের লোকজন বিলটিতে বাঁশের বেড়া দিয়ে সমঝোতার ভিত্তিতে ভাগ করে। বিলে মাছও ছাড়া হয়।


এদিকে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে জাবের বাহিনীর অর্ধশত লোকজন ধারাল অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিলে হানা দেয়। এসময় সেখানে পাহারা দেওয়া সাদ্দাম হোসেন, শফিকুল ইসলাম, আলম, বাক্কারসহ অন্যদের ধাওয়া করে। তারা প্রাণভয়ে পালিয়ে যায়। পরে তারা নির্বিঘ্নে বিলের বাঁশের বেড়া কেটে ফেলে এবং লুট করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।  

সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ লোকজন প্রতিপক্ষ জোনাব আলীর পোল্ট্রি খামারে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

বিলের মৎস্যচাষ প্রকল্পের সভাপতি আব্দুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, জাবের বাহিনীর লোকজন ধারাল অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিলের বেড়া কেটে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। বিলের নিয়ন্ত্রণ নিতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এর আগে বাসুপাড়ায় বিলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাবের আলী বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছিল। এতে বহুলোক পঙ্গু হয়েছে। পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় পালিয়ে যায়। তবে পোল্ট্রি খামারে কারা হামলা করেছে তা তিনি বলতে পারেননি। 

হাটগাঙ্গোপাড়া তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে এই বেড়া কাটার সঙ্গে জাবের বাহিনীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পুলিশ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিবে। পরিস্থিতির উপর পুলিশ নজর রাখছে। তবে জাবের আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

রাজশাহীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় উস্কানি ও মাদকের সাথে জড়িত থাকায় ৫ যুবলীগ সদস্য বহিষ্কার





নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও মাদকের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের পাঁচ সদস্যকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসাথে স্থগিত করা হয়েছে দুই নেতার কার্যক্রম।


শনিবার, গণমাধ্যমে পাঠানো রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী ও সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাচ্চু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


এতে বলা হয়, ওই পাঁচজন নগরীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করেছিলেন। আর দু’জনের বিরুদ্ধে মাদকের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আছে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টায় মহানগর যুবলীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম ও সাধন কুমার ঘোষের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া ফেসবুকে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টায় স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন শাওন ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদ শেখকে। অন্যদিকে মাদকের সাথে সম্পৃক্ততায় নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড (উত্তর) যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ শেখ এবং ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো: সাব্বিরকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।


মহানগর যুবলীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মহানগর আওয়ামী লীগের সুপারিশের ভিত্তিতে যুবলীগের এই সাত নেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলো। যে দু’জনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানো হবে।


সূত্র মতে, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৭ জুন রাতে নগরীর বোয়ালিয়া থানার হেতেমখাঁ লিচুবাগান এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই সময় ফেসবুকভিত্তিক একটি চ্যানেলে যুবলীগের কয়েকজন নেতা মসজিদে হামলা হয়েছে দাবি করে বক্তব্য দিতে থাকেন। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তাৎক্ষণিক পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


এ ঘটনায় সদ্য বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা শাওনসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ২০০ থেকে ২২০ জনকে আসামি করে শুক্রবার থানায় একটি মামলা হয়। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মনিরুল ইসলাম সুমন (৪০) ও মো: রেজা (৩৫) নামের দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।


সোর্সঃ নয়া দিগন্ত

বাগমারা থানা পুলিশের উদ্যোগে মাস্ক বিতরণ কর্মসুচি- বাগমারা টাইমস




নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

বাগমারা উপজেলায় দিন দিন বেড়ে চলেছে মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। 

এর ধারাবাহিকতায় শনিবার, সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে রাজশাহী জেলা পুলিশের নির্দেশনায় সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন বাগমারা থানা পুলিশ। 


পুলিশ প্রচারণা গাড়িতে মাইক লাগিয়ে জনসচেতনতামূলক বার্তা সহ  সরকারি বিধিনিষেধ মানতে সব সময় কাজ করে চলছে বাগমারা থানা সহ  তিনটি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যগণ।


আজ থানার সামনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাক আহম্মেদ।


এ ব্যাপারে বাগমারা থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, গ্রামে দিন দিন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কারণে জেলা পুলিশের নির্দেশনায় সাধারণ মানুষকে মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। চলমান এই কার্যক্রম লকডাউন থাকা পর্যন্ত চলবে।


মাস্ক বিতরণ কালে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাগমারা থানার ওসি (তদন্ত) আফজাল হোসেন, সেকেন্ড অফিসার এসআই রিপন কুমার সহ অন্যান্য অফিসারবৃন্দ।

রনজিত কুমারের মৃত্যুতে এমপি এনামুল হকের শোক-বাগমারা টাইমস

 




নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য রনজিত কুমার সাহা ইন্তেকাল করেছেন। রনজিত কুমার সাহার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।


শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে যোগীপাড়া ইউনিয়নের বড় মাধাইমুড়ি গ্রামের নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৫ বছর। রনজিত কুমার সাহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, সন্তান সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।


রনজিত কুমার সাহার সর্গীয় আত্মার শান্তি কামনা সহ শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন এমপি এনামুল হক।

বাগমারায় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ১-বাগমারা টাইমস





মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: 

উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার উত্তরএকডালা গ্রামে শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় সোহাগ (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে এবং রায়হান (৩২) নামে এক যুবক মারাত্মক আহত হয়েছে। আহত রায়হানকে স্থানীয়রা উদ্ধার  করে রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে বাগমারা থানার পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। 


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে ভবানীগঞ্জ কলেজ মোড়ের মেসার্স মকলেছ ফার্নিচারের এই দুই কর্মচারী তার দোকান মালিকের ব্যবহৃত টিভিএস ৮০ সিসি একটি লেডিস মোটর সাইকেল নিয়ে বের হয়। তারা উত্তরএকডালা বাজারের মোড় পার হয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর সেখানে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি নিম গাছের সাথে ধাক্কা লাগলে চালকের আসনে বসে থাকা সোহাগ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় তার মাথায় প্রচন্ড আঘাত লেগে মাথাটি ফেটে যায়। এ সময় মোটর সাইকেলের পিছনের সিটে বসে থাকা রায়হান দূরে ছিটকে পড়ে এবং ব্যাপক আঘাত পায়। পরে স্থানীয়রা রায়হানকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগমারা মেডিকেলে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত থাকে রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত রায়হানের অবস্থা আশংঙ্কা জনক বলে জানা গেছে।  


এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মকলেছ ফার্নিচারের মালিক রাকিব হোসেন জানান, আমি ব্যবসায় কাজে রাজশাহী এসেছি। খবর পেলাম আমার দোকানের ওই দুই কর্মচারী আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে এক্সিডেন্ট করেছে। ওই সময় তাদের মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে যাওয়ার কথা নয়। বিষয়টি আগে তারা আমাকে জানায়নি। বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে এবং মরদেহ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাগমারায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু- বাগমারা টাইমস


ফাইল ফটো



আশিক ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার বাগমারা টাইমসঃ

নওগাঁ জেলার  মান্দা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে  বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাগমারা উপজেলার সোনাডাঙ্গা ইউপির সোনাডাঙ্গা গ্রামের জাবেরের ছেলে হাসান(২৫)নামে এক যুবকের মৃত্যূ হয়েছে । আজ বিকাল ৫ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তার শশুর বাড়ি মান্দার দুর্গাপুর গ্রামে। সেখানে বিদ্যুতের সংযোগ থাকা রং স্পে করছিলেন পাকা বাড়িতে হটাৎ বৈদূতিক কাটা তারে পা দিলে  বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।পরে, স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রসাদপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তার এই অকাল মৃত্যূতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

রাজশাহীতে ‘ক্রসফায়ারে’ ধর্ষক নিহত- বাগমারা টাইমস





নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় সুমাইয়া খাতুন (১১) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার আসামী পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। তার কাছ থেকে শিশুটির বাড়ি থেকে চুরি হওয়া একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবকের নাম শামীম (২১) বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম।


তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ললিতনগর এলাকায় টহলে ছিল। এসময় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী পুলিশের উপর হামলা চালালে পুলিশ গুলি চালায়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়। শুক্রবার সকালে পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত হয়।


গত শনিবার গভীর রাতে উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের ললিতনগর শিশুটিক ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। নিহত শিশু সুমাইয়া ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। সে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সুমাইয়া বাড়িতে টিভি দেখে। এরপর একাই ঘুমাতে যায়। রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে তার বাবা-মা মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে তারা বাড়ির পাশের একটি খড়ের পালার নিচে সুমাইয়ার মরদেহ দেখতে পান।


ইফতেখায়ের আলম বলেন, পুলিশ ঘটনার পর থেকে এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের সন্ধানে ছিল। মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের পর তারা নিশ্চিত হয়েছেন শিশু সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে শামীম জড়িত। তার বিস্তারিত পরিচয় জানতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম।

রামেক হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে ২৪ ঘন্টায় ১৪ জনের মৃত্যু-বাগমারা টাইমস





নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে আরো ১৪জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে রাজশাহীর ৬জন, নওগাঁর তিনজন এবং চাঁপাইয়ের চারজন এবং নাটোরের একজন রয়েছেন।মৃতদের মধ্যে ৫জন করোনা পজেটিভ এবং ৯জন উপসর্গ নিয়ে মারা যান।


রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ওয়ার্ডে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৬৫ জন। এরমধ্যে শুধু রাজশাহীরই ৪৪জন ভর্তি হয়েছেন। এনিয়ে ৩৫৭ বেডের বিপরীতে মোট ভর্তি রোগী আছেন ৪২৩ জন। এরমধ্যে রাজশাহীর ২৮৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৬৪জন, নাটোরের ৩১জন, নওগাঁর ২৯ জন, পাবনার ৮জন, কুষ্টিয়ার ৩জন এবং চুয়াডাঙ্গার ২জন রয়েছেন।

এর আগেরদিন রাজশাহীর দুটি পিসিআর ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৪০০টি নমুনা পরীক্ষায় ১১৯জনের করোনা পজেটিভ আসে। রাজশাহীতে শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৭৫শতাংশ। নওগাঁর ১৬০ নমুনা পরীক্ষায় ৬১জনের পজেটিভ আসে। শনাক্ত হার ৩৮ দশমিক ১৩শতাংশ।

বাগমারায় প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ- বাগমারা টাইমস





মাহফুজুর রহমান প্রিন্স স্টাফ রিপোর্টারঃ 

রাজশাহীর বাগমারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপজেলার গরীব, দুঃস্থ, অসহায় ব্যক্তিদের সু-চিকিৎসার জন্য তাঁদের হাতে চেক তুলে দেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।


বৃহস্পতিবার, সকাল ১০ টায় আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ উপলক্ষে সালেহা-ইমারত কোল্ড স্টোরেজ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুলের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহীর জেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি, বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ কুমার প্রতীক দাশ রানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, সহ-সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, রিয়াজ উদ্দীন আহম্মেদ, আফতাব উদ্দীন আবুল, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজ উদ্দীন সুরুজ, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রমুখ। 


এ সময় উপজেলার গরীব, দুঃস্থ, অসহায় ৫ জনের সু-চিকিৎসায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

বাগমারায় ৬৫ নমুনা পরীক্ষায় ৪ জনের করোনা শনাক্ত- বাগমারা টাইমস







মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, স্টাফ রিপোর্টারঃ

বাগমারায় ৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। বুধবার, উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সকাল দশটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী সহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার ৬৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরিষদ মিলনায়তনের ভ্রাম্যমান করোনা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়। করোনার নমুনা পরীক্ষায় ৪ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে বলে জানান, পরীক্ষাগারের ডাক্তার লোকমান আলী। 


তিনি জানান, বুধবার আমরা মোট ৬৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছি। এর মধ্যে ৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। আক্রান্ত এই ৪ জনের মধ্যে একজন মহিলা রোগি রয়েছেন বলে তিনি জানান। এছাড়া আক্রান্ত এসব ব্যক্তিদের বয়স ৩৫ থেকে ৫০ এর মধ্যে বলে তিনি জানান। 


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম রাব্বানী জানান, প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এখানে নমুনা দেওয়ার মাত্র বিশ মিনিটের মধ্যেই পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরো জানান, যে সমস্ত ব্যক্তিদের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ছে, তাদেরকে আমরা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করার তাগিদ দিচ্ছি। আমাদের কাছে যে ওষধ রয়েছে তা করোনা রোগিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।


সর্বপরি আমরা করোনা পজিটিভ রোগীদের মাস্ক ব্যবহার সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।

শুভ জন্মদিন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি-বাগমারা টাইমস

 




মোঃ সারোয়ার  হোসেন স্বাধীন, স্টাফ  রিপোর্টারঃ

আজ থেকে প্রায় দেড়শ বছর আগে পৃথিবীর বুকে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছিলো ফুটবল খেলা। সময়ের পরিক্রমায় গোলাকৃতির বলটি পায়ে নিয়ে পুরো বিশ্ব মাতিয়েছেন নামীদামী অনেক তারকা খেলোয়াড়। তবে খুব কম খেলোয়াড় আছেন যারা সুন্দর খেলা ও মার্জিত ব্যবহার দিয়ে মানুষের মন জয় করে রেখেছেন। এই খুব কমের মধ্যে সেরা হলেন লিওনেল আন্দ্রেস মেসি কুচিত্তিনি। যিনি তার অসাধারণ সুন্দর, জাদুকরী খেলা দিয়ে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছেন গোটা ফুটবল বিশ্বকে। বর্তমান প্রজন্মের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সেরা এই ফুটবলারের জন্মদিন আজ।


১৯৮৭ সালের ২৪ জুন আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্মগ্রহণ করেন মেসি। তার বাবা হোর্হে হোরাসিও মেসি ছিলেন একটি ইস্পাত কারখানার শ্রমিক। মা সেলিয়া মারিয়া কুচ্চিত্তিনি ছিলেন খণ্ডকালীন পরিচ্ছন্নতা কর্মী। তার পৈতৃক পরিবারের আদি নিবাস ইতালির আকোনা শহরে। তার পূর্বপুরুষদের একজন অ্যাঞ্জেলো মেসি ১৮৮৩ সালে আর্জেন্টিনায় এসে বসতি গাঁড়েন। মেসির রয়েছে দুই বড় ভাই এবং এক ছোট বোন।



মাত্র পাঁচ বছর বয়সে মেসি স্থানীয় ক্লাব গ্রান্দোলির হয়ে ফুটবল খেলা শুরু করেন। মেসির প্রথম কোচ তার বাবা হোর্হে। এরপর ১৯৯৫ সালে তিনি রোজারিও ভিত্তিক ক্লাব নিওয়েল’স ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলা শুরু করেন। ১১ বছর বয়সে মেসির গ্রোথ হরমোনের সমস্যা ধরা পড়ে। স্থানীয় ক্লাব রিভার প্লেট আগ্রহ দেখালেও সেসময় ক্লাবটি মেসির চিকিৎসা খরচ বহন করতে অপারগ ছিল। এ চিকিৎসার জন্যে প্রতি মাসে প্রয়োজন ছিল ৯০০ মার্কিন ডলার।


বার্সেলোনার তৎকালীন ক্রীড়া পরিচালক কার্লেস রেক্সাচ মেসির প্রতিভা সম্পর্কে জানতে পারেন। তিনি মেসির খেলা দেখে মুগ্ধ হন। ফলে বার্সালোনা মেসির চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার বহন করতে রাজি হয়। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে হাতের কাছে কোনো কাগজ না পেয়ে একটি ন্যাপকিন পেপারে মেসির বাবার সাথে চুক্তি সাক্ষর করেন তিনি। তাররপর মেসি এবং তার বাবা বার্সেলোনায় পাড়ি জমান। এরপর থেকে বাকিটা কেবল মেসি, মেসি এবং মেসি।



 মেসি তার পুরো পেশাদার জীবন পার করেছেন বার্সেলোনায় যেখানে মোট ৩৫টি শিরোপা জিতেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ১০টি লা লিগা, ৪টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ এবং ৭টি কোপা দেল রে-র শিরোপা।


একজন অসাধারণ গোলদাতা হিসেবে মেসির দখলে রয়েছে লা লিগায় সর্বোচ্চ গোল (৪৭৪), লা লিগায় এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল (৫০), ইউরোপে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল (৭৩), এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ গোল (৯১), এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল (২৬) এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ হ্যাট্রিকের (৮) রেকর্ড। পাশাপাশি মেসি একজন সৃষ্টিশীল প্লেমেকার হিসেবেও সেরা। তিনি লা লিগা (২১৭) এবং কোপা আমেরিকার (১৩) ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলে সহায়তাকারীর রেকর্ডেরও মালিক।


মেসি আর্জেন্টিনার ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে মেসি আর্জেন্টিনাকে ২০০৫ ফিফা ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাতে সাহায্য করেন যে টুর্নামেন্টে তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয় করেন। এছাড়া তিনি ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলম্পিকে তিনি স্বর্ণপদক জয় করেন।


২০০৫ সালের আগস্টে জাতীয় দলের হয়ে তার অভিষেক হয়। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো আর্জেন্টিনার অধিনায়কত্ব পান তিনি। অধিনায়ক হিসেবে তিনি আর্জেন্টিনাকে টানা তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে তোলেন: ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ, ২০১৫ কোপা আমেরিকা এবং ২০১৬ কোপা আমেরিকা। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হওয়া ২০১৯ কোপা আমেরিকায় সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নেয় মেসির দল। তিনি ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।


বর্তমানে মেসি জাতীয় দলের হয়ে শিরোপা জয়ের আরও একটি প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। অনেকবার তিনি বলেছেন কতটা মরিয়া দেশকে একটি শিরোপা এনে দিতে। এমনকি নিজের বর্ষসেরার খেতাবও বিসর্জন দিয়ে হলেও দেশের জার্সিতে কিছু একটা জিততে চাওয়ার আকুতিও প্রকাশ করেছেন অকপটে।


মেসির সেই ইচ্ছা আদৌ পূরণ হবে কি না সেটা সময়ের হাতেই তুলে রাখা ছাড়া কোন উপায় নেই। যদি মেসির হাতে ওঠে কোপা বা বিশ্বকাপের শিরোপা তাহলে সেটা শুধু মেসিই না গোটা ফুটবল দুনিয়ার জন্যই মহোৎসবে পরিণত হবে এ কথা নিঃসন্দেহেই বলা যায়।


ফুটবলের এই মহানায়কের জন্মদিনে আমাদের স্পোর্টস জোন ২৪ পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন এবং শুভ কামনা।

আম খাওয়ার পর ভুলেও যে ৫ খাবার খাবেন না|বাগমারা-টাইমস

 


লাইফস্টাইল ডেস্কঃ


বাজারে এখন আম সহজলভ্য। হিমসাগর, আম্রপালি, ল্যাংড়াসহ নানা প্রজাতির আমে ভরা বাজার। সবার ঘর এখন আমের ঘ্রাণে ম ম করছে। আম নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, আয়রণ, ক্যালসিয়াম ও খনিজ লবণসহ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান।


তবে জানেন কি, কিছু খাবার আছে, যা আম খাওয়ার পর কখনোই খাওয়া উচিত নয়। বদহজম, বমিভাব থেকে শুরু করে ডায়রিয়া, অ্যালার্জি এমনকি শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে আম খাওয়ার পর ভুল খাবার খেলে। অতিরিক্ত আম খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়; ঠিক তেমনই আম খাওয়ার পরে কিছু খাবার খেলে পড়তে পারেন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।

পানি: ফল খাওয়ার পর পানি খেতে হয় না-এমন কথা নিশ্চয়ই বড়দের মুখে শুনেছেন! আমের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। আম খাওয়ার পর পানি খেলে ভুগতে পারেন অ্যাসিডিটির সমস্যায়। হতে পারে পেট ব্যথাও। তাই আম খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা পর পানি পান করুন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আমে প্রচুর হাইড্রেটিং শক্তি আছে, যা আপনার তৃষ্ণা নিবারণের জন্য যথেষ্ট। যদি আপনি ফল খাওয়ার পরেও তৃষ্ণার্ত বোধ করেন তবে কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর জল খান।

বেশিরভাগ চিকিত্সক এবং ডায়েটিশিয়ানরা ফল এবং পানি খাওয়ার মধ্যে ৪০-৫০ মিনিট ব্যবধানের পরামর্শ দেন। আপনি যদি বেশি তৃষ্ণার্ত বোধ করেন তবে ফল খাওয়ার ৩০ মিনিটের পর এক বা দুটি চুমুক পান করতে পারেন।



দই: আমের সঙ্গে ভুলেও দই মিশিয়ে খাবেন না। কারণ দই আর আম একসঙ্গে শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এতে অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। হতে পারে হজমের সমস্যাও। এমনকি পাকস্থলীতে বিষক্রিয়ার ফলে ডায়রিয়াও হতে পারে।



করলা: এই সবজির অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। তবে আম খাওয়ার পর কখনই করলা খাবেন না। খেলে বমিভাব হতে পারে। অনেকের বমির পাশাপাশি শ্বাসকষ্টও হতে পারে।

ঝাল ও মশলাযুক্ত খাবার: আম খাওয়ার পরপরই কখনও ঝাল কিংবা মশলাযুক্ত খাবার খাবেন না। এর ফলে হজমে সমস্যা দেখে দিতে পারে। ভুগতে পারেন অ্যালার্জিতেও।



কোমল পানীয়: স্বাস্থ্যের জন্য কোমল পানীয় মোটেও ভালো নয়। তারপর যদি আম খাওয়ার পরপর কোমল পানীয় খাওয়া হয়; তাহলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়।

আম আর কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকায় রক্তে ব্লাড সুগারের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। যা ডায়াবেটিস রোগীর স্বাস্থ্যের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে।

বাগমারায় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি কে সংবর্ধনা প্রদান।

 



বাগমারা প্রতিনিধিঃ রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকারকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় এ উপলক্ষে সালেহা-ইমারত কোল্ড স্টোরেজ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগ।


জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক এমপি মেরাজ উদ্দীন মোল্লার মৃত্যু জনিত কারনে সম্প্রতি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক অনিল কুমার সরকারকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। 


প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, উপহার সহ ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন রাজশাহী-৪(বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। 


উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুলের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি বলেন, দলের পদ পদবী নিয়ে কোন লুকোচুরি করা যাবে না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনকল্যাণের কাজে লাগাতে হবে। পদ নিয়ে যারা দৌড়াদৌড়ি করে তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংগঠনের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে। আওয়ামী লীগের পদ টাকায় বিক্রয় হয় না। টাকা থাকলেই সভাপতিও হওয়া যায় না। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলে জাতির পিতার আদর্শকে অন্তরে ধারন করতে হবে। বেঈমান, মুনাফিকদের হাতে আর দায়িত্ব দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগ করলে সংগঠনের আদর্শ মেনে চলতে হবে। গায়ের জোরে সবকিছু পাওয়া যায় না। 


প্রধান অতিথি আরো বলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে কিছু দিনের মধ্যে একটি আধুনিক কার্যালয় নির্মাণ করা হবে। জমি দিয়েছি এবার ভবন নির্মাণের পালা। জেলা আওয়ামী লীগকে গতিশীল করতে সকল ভেদাভেদ ভুলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকারের নেতৃত্বে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি। সভাপতির নেতৃত্বেই চলবে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ। 


বিশেষ অতিথি হিসেবে উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ কুমার প্রতীক দাশ রানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, সহ-সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, রিয়াজ উদ্দীন আহম্মেদ প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আফতাব উদ্দীন আবুল, জাহাঙ্গীর আলম হেলাল, মরিয়ম বেগম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দীন সুরুজ, আসাদুজ্জামান আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আল-মামুন, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি কহিনুর বানু, সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম মীর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, বীরমুক্তিযোদ্ধা, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং অংগ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগ, মহিলা লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ভবানীগঞ্জ বণিক সমিতি সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকারকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন।

রামেক হাসপাতালে করোনা ইউনিটে আবারও মৃত্যু বেড়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জনের মৃত্যু-বাগমারা টাইমস



নিজস্ব প্রতিবেদক বাগমারা টাইমসঃ

গেলে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৩ জুন) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন ) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের মধ্যে তারা মারা যান।  

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃত ১৮ জনের মধ্যে  ৮জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। আর ১০ জন ভর্তি ছিলেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৩ জনই রাজশাহী জেলার। 

১ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জের, ৪ জন নওগাঁর।  এ নিয়ে চলতি মাসের ২৪ দিনে (১ জুন সকাল ৮টা থেকে ২৪ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ২৬৩ জন।  

রামেক হাসপাতাল পরিচালক শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৪ জন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪০৪ জন।  রামেক হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা ৩৫৭টি।

এই মহামারী সময়ে সচেতন হোন সুস্থ থাকুন।





ভিডিও & সংবাদ : রুবেল ভাই (মাছরাঙ্গা টেলিভিশন)

বাগমারায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত- বাগমারা টাইমস





মাহফুজুর রহমান প্রিন্স স্টাফ রিপোর্টার বাগমারা: 

বাংলাদেশ এবং আওয়ামী লীগ একই সুতোই গাঁথা। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের কথা চিন্তা করা যায় না। আওয়ামী লীগ জাতির প্রাণ বাঙ্গালী ভ্রমরা। আওয়ামী লীগের হাত ধরেই পেয়েছি স্বাধীন দেশ এবং লাল সবুজের পতাকা। আওয়ামী লীগের ঋণ বাঙ্গালী কোন দিন শোধ করতে পারবেনা। আওয়ামী লীগ জাতিসত্তাকে বিকশিত করেছে। আওয়ামী লীগের অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। 



বুধবার, সকালে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্সে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য প্রদান কালে এসব কথা বলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি। 




তিনি আরো বলেন, নতুন প্রজন্মের মাঝে আওয়ামী লীগের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজো দেশের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মাণ ভাবে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ সংগঠনকে শেষ করে দেয়ার জন্য। তাদের সেই চিন্তা ভাবনা ভেঙ্গে দিয়েছে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিতার মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে শক্ত হাতে হাল ধরেছেন তিনি। পিতার স্বপ্নেকে বাস্তবায়ন করতে  সর্বদায় কাজ করে চলেছেন। 



সংগঠনকে শক্তিশালী করতে নির্দিষ্ট সময় পরপর সম্মেলনের মাধ্যমে দলের গতিশীলতা ঠিক রেখেছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। সবাইকে সংগঠনের নিয়মনীতি মেনে সংগঠনিক চর্চা করে যাওয়ার আহ্বান জানান ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি। 



উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুলের পরিচালনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি, বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কহিনুর বানু। 



বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ কুমার প্রতীক দাশ রানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, সহ-সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, রিয়াজ উদ্দীন আহমেদ, আফতাব উদ্দীন আবুল, মরিয়ম বেগম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দীন সুরুজ, আসাদুজ্জামান আসাদ, মকবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আল-মামুন, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, বীরমুক্তিযোদ্ধা, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।