সর্বশেষ খবর

রাজশাহীতে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ

  

স্টাফ রিপোর্টারঃ

মৌসুমী রসালো ফল তরমুজ বর্তমানে রাজশাহীতে ৫০/৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যাবসায়ীগণ তাদের ইচ্ছেমতো দাম হাকিয়ে তরমুজ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতা ও জন সাধারণ।



নিম্ন আয়ের মানুষের এ বছরের তরমুজের স্বাদ নিতে খুবই হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানা যায়। রমজান মাস এলেই প্রতিটা রোজাদারের পরিবারে ইফতার থাকে তরমুজ সহ হরেক রকমের মৌসুমী ফলের সমাহার। কিন্ত সেই তরমুজের দাম এবার আকাশ ছোয়া। তবে দাম বৃদ্ধির কারনে অনেক রোজাদার সহ নিম্ন আয়ের মানুষ আজও তরমুজের স্বাদ নিতে পারেননি।

গত বছর রাজশাহীতে সর্বত্রই তরমুজের ছড়াছড়ি এবং সল্পমূল্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কিন্তু এবার চিত্রটা ভিন্ন! চলতি মৌসুমে বাজারে পর্যাপ্ত তরমুজের দেখা গেলেও এ বছর তরমুজ কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় দরে বিক্রি করছে বিক্রেতা।


রাজশাহী বাগমারা  হরিতলা মোড়, মাদ্রাসামোড়  বিভিন্ন বাজার, হাট ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে ৫০/৬০ টাকা দরে তরমুজ বিক্রি করতে। অনেক ক্রেতা এসে বিক্রেতার সাথে দাম নিয়ে রীতিমতো বিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন।


অটোচালক ভাদু, হায়দার, মিন্টু সহ আরও অনেকেই বলেন, লকডাউন চলছে। ভয় নিয়ে সড়কে আছি, দিন শেষে যা আয় হচ্ছে কোনো রকমে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে আছি। এই রোজগারে এ বছর তরমুজ খাওয়া সম্ভব হবে না।


বাজারে আসা রোজাদার সহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষের প্রশ্ন তরমুজের কেজি এত হওয়ার কারন কি? যে তরমুজ গত বছরও মানুষ ১৫/২০ টাকা দরে কিনেছে, সেই তরমুজ এ বছর কেজিতে ৫০/৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে গত বছরের মত কেজিতে যদি ১৫/২০ টাকা হতো তাহলে সাধ্যের মধ্যে থাকতো, অথচ ৫০/৬০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। 

 ভোক্তাদের প্রশ্ন এই টাকা কি প্রকৃতপক্ষে ওই চাষি, যে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তরমুজ উৎপাদন করেছে তার পকেটে যাচ্ছে নাকি অন্য কারও পকেটে? কৃষকের তরমুজের ক্ষেত থেকে শুরু করে বাজারে বিক্রেতা পর্যন্ত যারা ভোক্তার পকেট খালি করে চলেছে তাদের খুজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।


বাজারের কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, বড় ব্যবসায়ীরা তরমুজ পাইকারী বাজার হতে শ’ হিসেবে কিনে তা কেজিতে বেশি দামে বিক্রি করছেন। তাই আমরাও বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। বাজার মনিটরিং করলে কেজি কাহিনী উন্মোচন হবে বলে তারা মনে করছেন।