পাওনা টাকার সাক্ষী হওয়ায় এক নারীর ব্যবসায়ী কে পেটানোর অভিযোগ.বাগমারা-টাইমস!
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
হামিরকুৎসা ইউনিয়নের তালঘরিয়া গ্রামের উজ্জ্বল নামে এক ব্যবসায়ী কে পেটালেন একই গ্রামের সাজাহান খন্দকারের স্ত্রী সাগরিকা।
অভিযোগ উঠেছে গত প্রায় দুই বছর আগে
নখপাড়া বাজারে মেসার্স রোমান এন্ড রোহান এন্টারপ্রাইজ হতে ওয়ালটন ২৪ ইঞ্চি একটি এলিডি ক্রয় করেন বাগমারা উপজেলার তালঘরিয়া গ্রামের শাহাজান খন্দকারের স্ত্রী সাগরিকা।৬ মাসের কিস্তিতে টেলিভিশন ক্রয় করলেও টাকা পরিশোধ করেনি সাগরিকা। এদিকে টিভির কিস্তির টাকা পরিশোধ করবে বলে মাসের পর মাস ঘুরাতে থাকে সাগরিকা। টাকা না দেবার বিভিন্ন তাল-বাহানাও করতে থাকে তিনি।
গত ২১ শে মার্চ পাওনা টাকা চাইতে যান রোমান এন্ড রোহান এন্টারপ্রাইজ এর প্রোঃ মোঃ সুলতান। সাথে সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যান তালঘরিয়া বাজারের এক ব্যবসায়ী উজ্জ্বল কে।
সুলতান পাওনা টাকা চাইলে সাগরিকা টাকা দিতে অস্বীকার করে এবং যে দিন পারবো সে দিন দিবো বলে।যেহেতু দীর্ঘ প্রায় দুই বছর হয়েছে তাই টাকা বা টেলিভিশন দুটোর মধ্যে একটা নিয়ে যেতে হবে বলেন সুলতান।
সাগরিকা টাকা দিতে অস্বীকার করলে সুলতান টেলিভিশন দিয়ে দেবার জন্য অনুরোধ করে, কিন্তু কে শোনে কার কথা সাগরিকার একটাই কথা টাকাও দিবো না টেলিভিশন ও দিবো না পারলে যা চায় তা করেন।একথা শুনে সুলতান টেলিভিশন নেবার জন্য ঘরে প্রবেশ করলে সাগরিকা পাশে পড়ে থাকা লাঠি দিয়ে সুলতানের মাথায় বাড়ি দেন এসময় উজ্জ্বল হাত দিয়ে লাঠি ধরে ফেলে।পরে সাগরিকা সুলতান ও উজ্জ্বল কে গালাগালি করলে সন্মানের ভয়ে ওখান হতে পালিয়ে আসে।পালিয়ে এসে যোগিপাড়া ভাগনদী পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করেন।অভিযোগ ভিত্তিতে ২৩ শে মার্চ বিকাল ৪ টার সময় উভয়কে পুলিশ ফাঁড়িতে বসার জন্য বলা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় ২৩ শে মার্চ সকাল আনুষ্ঠানিক ৮ টার সময় তালঘরিয়া বাজারে উজ্জ্বল তার নিজ দোকানে যাবার জন্য বাহির হন।পথে মধ্যে রেজাউল করিম বাবুর বাসার সামনে আসলে পিছনে হতে সাগরিকা হাতে থাকা বাশের লাঠি দিয়ে উজ্জ্বল কে ঘাড়ে আঘাত করলে মাটিতে পড়ে যায় এসময় সাগরিকা উজ্জ্বলের গোপন অঙ্গ ধরে ধস্তাধস্তি করতে থাকে। উজ্জ্বল চিৎকার চেচামেচি করলেও আশেপাশের লোকজন এসে তাদের আলাদা করে দেন।এসময়ে উজ্জ্বলের কাছে থাকা ব্যবসার নগদ ৩০ হাজার টাকা একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। অনেকক্ষন খোঁজা খুঁজি করে দুটোর কিছু পাওয়া যায় না। কিছুক্ষন হতে না হতে সাগরিকা তার স্বামী শাহাজান খন্দকার ও ছেলে কে নিয়ে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুনরায় আবার আক্রমন করতে আসলে উজ্জ্বল জীবন বাচাঁনোর তাগিদে পাশের বাড়ি রেজাউল করিম বাবুর বাসার গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। কিন্তু তাতেও রেহাই পাননি উজ্জল?রেজাউল করিম বাবুর বাসার দরজা ভেঙে উজ্জ্বল কে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও জানে মেরে ফেলবে বলে আবার গোপন অঙ্গ ধরে ধস্তাধস্তি করতে থাকলে উজ্জল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং ঙ্গান হারিয়ে ফেলে। আবারও বাড়িওয়ালা এলাকার লোকজন এসে উজ্জ্বল কে উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করানো হয়।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা সবাই বলেন, সাগরিকার অত্যাচারে এলাকায় কেউ শান্তিতে থাকতে পারে না।কিছু একটা হলেই তিনি ছেলেদের গোপন অঙ্গ চেপে ধরে। ইতিমধ্যে কমপক্ষে ১০ জনার সাথে এমন জঘন্য কাজ তিনি করেছেন। তার ভয়ে কয়েকটি পরিবার ঢাকায় অবস্থান করছেন।এলাকার লোক ভয়ে কথা বলে না কেউ কিছু বললে ধর্ষন মামলা দিয়ে ফাঁসানোর কথা বলে।তাই এলাকা বাসির দাবি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে, অতিদ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে এই দজ্জাল মহিলার হাত থেকে যেন সবাই মুক্তি পান। আর যে কাউকে লাঞ্চিত হতে না হয় এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর।
এবিষয়ে জানতে চাইলে যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ফাঁড়ি এস আই আকবর বলেন,উভয়ের অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগের পেক্ষিতে দুই পক্ষ কে ডাকা হলে উজ্জ্বল তার স্বাক্ষী প্রমান নিয়ে আসে কিন্তু সাগরিকা কাউকে নিয়ে আসতে পারে নাই।তাই অভিযোগের পেক্ষিতে কোটে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।