সর্বশেষ খবর

বাগমারায় মোহনগঞ্জ হাটে সরকারী জায়গায় প্রভাবশালীর অবৈধ ঘর নির্মাণ- বাগমারা টাইমস




মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারাঃ 

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মোহনগঞ্জ হাটে সরকারী জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি উপজেলা প্রশাসন সহ ভূমি কমিশনারকে অবহিত করলেও বন্ধ হয়নি এর নির্মাণ কাজ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এর আগেও মোহনগঞ্জ হাটে সরকারী দখল করে বিক্রয়ের মহোৎসব শুরু করেছেন রানা সরদার। তার বাড়ি গনিপুর ইউনিয়নের মোহনহঞ্জ গ্রামে। হাটের নিকটে বাড়ি হওয়ার কারনে হাটের অনেক সরকারী জায়গা রয়েছে তার দখলে। সেই জায়গাগুলো দিনকে দিন বিক্রয় করে চলছেন। প্রশাসন জানলেও তার বিরুদ্ধে নেন না কোন ব্যবস্থা। 

বর্তমানে মোহনগঞ্জ পান হাটায় দখল করে সেখানে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে চলেছেন তিনি। সরকারী খাস জমি যেন তাদেরই। দিনে দুপুরে ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের বসিয়ে রেখে নির্মাণ করছেন দোকান ঘর। কেউ কথা বলার সাহসও পান না তাদের সামনে। 

সরকারী জমি দখল আর বিক্রয় এটাই যেন তার নেশায় পরিনত হয়ে গেছে। সম্প্রতি মোহনগঞ্জ হাটে এরকমই একটি জায়গা দখল করে সাড়ে সাত লাখ টাকায় বিক্রয় করেছেন তিনি। মোহনগঞ্জ হাটে তাদের পরিবারের কব্জায় রয়েছে প্রায় কোটি টাকার সরকারী সম্পত্তি। এছাড়াও মোহনগঞ্জ হাটে কয়েকটি পরিবারের দখলে রয়েছে সরকারী অনেক জায়গা। এদিকে কর্তৃপক্ষ বার বার ওই হাটে জরিপ করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নোটিশ করলেও তা আজো বাস্তবায়ন হয়নি। এতে সরকারী কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল হয়ে পড়ে আছে। 
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, প্রতিবছর মোহনগঞ্জ হাট থেকে অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব পেলেও নেই কোন দৃশ্যমান উন্নয়ন। কয়েকটি পরিবারের নিকটে হাটের জায়গা দখলে থাকায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ হাটুরিয়ারা। তারা কোন মালামাল হাটে এনে বিক্রয় করলে ইজারাদারদের খাজনার টাকা ছাড়াও তাদেরকে দিতে হয় টাকা। 

রানা সরদার এর সাথে মুুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শুধু আমিই না আমার মতো অনেকেই হাটের সরকারী জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করে তা বিক্রয় করে চলেছে। তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমি অসুস্থ হওয়ার কারনে আমার দখলে থাকা অপর একটি ঘর সাড়ে ৭ লাখ টাকায় বিক্রয় করেছি। বর্তমান জায়গাটি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দখলে থাকায় সেখানে ঘর নির্মাণ করছি। দখলদারদের কারনে সরকারী প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

গনিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মেহেদী হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমির) স্যারের নির্দেশে আমরা পর পর দুই বার ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ কাজ করতে নিষেধ করেছি। সরকারী খাস জমিতে কোন পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা যাবে না। 

এদিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, সরকারী জমিতে কেউ যেন অবৈধ ভাবে পাকা ঘর নির্মাণ করতে না পারে সে জন্য সংশ্লিষ্ট তহসিলদাকে পাঠানো হয়েছে। নিষেধ অমান্য করে সেখানে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

বাগমারায় ভ্রাম্যমান ক্যাম্পে দ্বিতীয় দিনে ২৬০ জনের করোনা টিকা গ্রহণ- বাগমারা টাইমস



মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারাঃ 

গত শনিবার (৩১ জুলাই) থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্সে চালু হয়েছে ভ্রাম্যমান করোনা টিকা প্রদান ও ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্প। এখানে গ্রামের যেকোন মানুষ ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করে করোনার টিকা গ্রহণ করছেন। গ্রামের মহিলাদের করোনার টিকা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।


ভ্রাম্যমান করোনা টিকা প্রদান ও ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্পের দ্বিতীয় দিনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক মন্ডল মেয়রের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাাদক জাহানারা বেগমের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে মুঠোফোনের মাধ্যমে বক্তব্য দেন এমপি এনামুল হক। 


বক্তব্যকালে তিনি বলেন, বাগমারায় বিশেষ করে মহিলাদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুুদ্ধকরণের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্সে এই টিকা গ্রহনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে করে গ্রামের সাধারণ নারী-পুরুষরা এতে উদ্বুদ্ধ হয়। 


সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেকমো লোকমান আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন সুরুজ, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবী, শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, প্রমুখ। মঙ্গলবার ২৬০ জন নারী-পুরুষকে করোনা ভাইরাস টিকার প্রথম ডোজ প্রদান করা হয়েছে। 







লকডাউন বাড়লো ১০ আগস্ট পর্যম্ত-বাগমারা টাইমস





বাংলাদেশে চলমান লকডাউন সময় ১০ই অগাস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার আন্ত:মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকের পর মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

চলমান লকডাউনের মেয়াদ ছিল ৫ই অগাস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। এখন সেই লকডাউনের সময় ১০ই অগাস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হল।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মি: হক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, ১১ই অগাস্ট থেকে দোকানপাট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলবে। সেই সময় থেকে শর্ত সাপেক্ষে যানবাহন চলাচলও করবে।


তিনি বলেছেন, ১১ই অগাস্টের পর বিধিনিষেধ শিথিল থাকবে। তবে ১৮ বছরের বেশি বয়সীরা টিকা নেয়া ছাড়া রাস্তায় বের হতে পারবে না।


তিনি উল্লেখ করেছেন, কেউ টিকা না নিয়ে বের হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাগমারায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু-বাগমারা টাইমস


ফাইল ফটো


এইচ এম শাহাদতঃ

রাজশাহীর বাগমারায় পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজের পর শিশুর ভাসমান লাশ পাওয়া যায়। ওই শিশুর নাম আমির হামজা (৪)। সে উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের বীরকয়া গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।


পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেল থেকে শিশু বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজেও পাচ্ছিল না। সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের বিলের পানিতে শিশুর লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে।


ততোক্ষণে শিশু আমির হামজা মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার বিষয় নিশ্চিত হওয়ার পর লাশ দাফনের অনুমতি দেয়।


শিশুর মা শিউলি বেগম জানান, বাড়িতে খেলা করা অবস্থায় শিশু অসাবধান বশত গড়ে বাড়ির পাশের বিলের পানিতে ডুবে যায়।


বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, শিশুটি বাড়ির পাশের পানিতে ডুবে মারা গেছে। ঘটনাটি মর্মান্তিক বলে মন্তব্য করেন।

বাগমারায় শেষ সময়ে আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষকেরা-বাগমারা টাইমস



এইচ এম শাাহাদতঃ

রাজশাহী বাগমারায় আমনের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। ধান রোপণ আর জমি প্রস্তুত করতে প্রতিদিন ভোর থেকেই কৃষকের পদচারণায় মাঠ সরগরম হয়ে ওঠে। 


বাগমারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এ উপজেলার কৃষকরা আমন, বোরো ধান উৎপাদনে অভিজ্ঞ। এ কারণে তারা বছরে একই জমিতে তিনবার ধানের আবাদ করে থাকেন। পাশাপাশি রবিশস্যেরও চাষাবাদ করা হয়।


এই উপজেলার আবাদী জমির উর্বরতা বেশি। এবার বর্ষা মৌসুমে ঈশ্বরদীতে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়েছে। মাঠে পানি থাকায় শ্রাবণের শুরু থেকেই এখানকার কৃষকেরা আমন ধানের চারা রোপণ শুরু করেন। শ্রাবণের শেষ অর্থাৎ আগস্ট মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত চারা লাগানোর ব্যস্ত থাকবেন কৃষকেরা।


এর আগে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর আমনের বীজতলা তৈরি করে। পাশাপাশি কৃষকদের আমন ধান আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করার সহযোগিতা করেন কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।


বাগমারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় মোট ৪ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের নতুন জাত ‘ব্রি-৪৭’ সহ নানান জাতের  চারা রোপণ শুরু করেছেন কৃষকরা। এ কার্যক্রম চলবে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝিতে ধান পাকতে শুরু করবে।


উপজেলার পৌর এলাকার গোয়ালকান্দী ইজমিতে সরেজমিন ইউনিয়নের বেশকটি গ্রাম ঘুড়ে দেখা যায়, কৃষকরা সোনালী স্বপ্ন নিয়ে এ মৌসুমে আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। 


গোয়ালকান্দী  গ্রামের কৃষক মোঃ ইব্রাহিম মন্ডল বলেন, গত মৌসুমে ফলন ভালো হওয়ায় এবারও আমন ধানের ফলন দ্বিগুন হবে।  এবার আবহাওয়া পুরোপুরি আমন ধান চাষের অনুকুলে। সময়মতো বৃষ্টি হয়েছে। মাঠে যথেষ্ট পরিমাণ পানি আছে। এবার হয়তো পানি সেচও করা লাগবে না।


গোয়ালকান্দী ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল মজিদ বলেন, 'গোয়ালকান্দী ইউনিয়নের কৃষকরা ধান উৎপাদনে অনেক অভিজ্ঞ। তারা যথাসময়ে প্রস্তুতকৃত জমিতে আমন ধানের চারা রোপন শুরু করেছে।  ১২০ হেক্টর আবাদী জমির মধ্যে এ পর্যন্ত ২১ হেক্টর জমিতে চারা লাগানো সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মাসের মাঝামাঝিতে বাকি জমিতে ধানের চারা রোপণ কাজ সম্পন্ন হবে।'


তিনি বলেন, 'আমন ধান আবাদে ব্যয় যেমন কম, তেমনি ফলনও দ্বিগুন হয়। এ কারণে আমন ধান আবাদে এখানকার কৃষকরা বেশি আগ্রহী। এ ছাড়া জমির উর্বরাশক্তি বেশি হওয়ায় গতবারের মতো এবারও আমন ধানের বাম্পার ফলনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করি।'


এর আগে কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার ও কীটনাশক সরবরাহ করা হয়।


কৃষি কর্মকর্তা জানান, এবার বাগমারায়  আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৮১৭ মেট্রিকটন।


ইরি-বোরো মৌসুমে বাগমারা  উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তেমনি কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্যও পেয়েছে। এতে কৃষকরা অনেকটা খুশি। এজন্য কৃষকরা সোনালী স্বপ্ন নিয়ে আমন ধানের চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছে।


এদিকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ৫ একর জমিতে ১৫ জন করে কৃষকে সার, বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ এবং তদারকি করা হচ্ছে।

বাগমারায় বিকল্প পদ্ধতিতে আদা চাষ- বাগমারা টাইমস




মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারাঃ

প্রয়োজন নেই কোন জমি বা হাল চাষ। এবার বসতবাড়ির আনাচে কানাচে বস্তায় আদা চাষ করে সফল হয়েছেন উপজেলার কুলিবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের উদ্যোক্তা আরিফুল ইসলাম রিপন। তিনি পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। জমিজমা তেমন নেই। তারপরও থেমে নেই রিপনের উদ্যোগ। তিনি নিজ বসতবাড়ির চারিপাশে এবার তিনশ' বাস্তায় আদা চাষ করে সফল হয়েছে। ফেলে দেওয়া সিমেন্টর বস্তা কিংবা অল্পদামে কেনা সারের বস্তায় বালি মাটি জৈবসার ও অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে তিনশ বস্তায় আদা চাষ করেছেন রিপন। 


তিনি ইউটিউব থেকে এই পদ্ধতি জেনে তা বাস্তবায়নের কাজে হাত দেন। তবে বস্তা ছাড়াও ফেলে দেওয়া পানির বোতল টব ছাড়াও মোটা পলিথিনের ব্যাগেও একই পদ্ধতিতে আদা চাষ করা সম্ভব বলে জানান রিপন। তিনি আরো জানান যারা শহরে বাস করেন তারা চাইলে বাড়ির ছাদে এই পদ্ধতিতে খুব অল্প খরচে ও অল্প পরিশ্রমে আদা চাষ করতে পারেন। বীজ আদা তিন টুকরো করে বালি মিশ্রিত বস্তায় লাগাতে হয়। 


পরে অল্প পানি ছিটিয়ে দিয়ে রাখলে অল্প দিনের মধ্যেই গাছ গজিয়ে যায়। এভাবে বস্তা বা টবে রোপিত আদা গাছের বিশেষ কোন যত্নের প্রয়োজন পড়ে না। তবে গাছ যাতে ছায়া ও স্যাতস্যেতে জায়গায় না থাকে তা খেয়াল রাখতে হবে। উন্মুক্ত স্থান যেখানে আলো বাতাস পড়ে এমন জায়গায় এসব বস্তা বা টব রাখতে হবে। আদার বিশেষ কোন রোগবালাই নেই । 

তবে আলো বাতাস কম পেলে রাইজম জট নামে পাতা হলুদ বর্ণের এক রোগ হবে পারে। উদ্যোক্তা রিপন জানান, এবার তিনি তিনশ বস্তায় আদা চাষ করেছেন। আগামীতে আরো ছয়শ বস্তায় আদা চাষ করবেন। এবারের আদা থেকে কমবেশি রিপন ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার আদা বিক্রি করতে পারবেন । স্থানীয় হাটে ভালো মানের আদা প্রতি কেজি এখন একশ টাকা।

বাগমারার গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক-বাগমারা টাইমস



নাজিম হাসানঃ

রাজশাহীতে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম গাঁজাসহ ২ ব্যক্তিকে অভিযান চালিয়ে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, জেলার বাগমারা উপজেলার সারন্দী মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে শামীম রেজা (২৮) ও সারন্দী নিশুপাড়া গ্রামের মোঃ ইসহাক আলীর ছেলে সাগর(২২)। নগর ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার আরেফিন জুয়েল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েলের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিবি) আব্দুল্লাহ আল মাসুদের নেতৃত্বে এসআই এ.এস.এম. সাইদুজ্জামান ও তাঁর  টিম ৩১ জুলাই  মহানগর এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও চোরাচালান রোধ ডিউটি করছিলো। 


এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে পবা থানার মধুসুদনপুর এলাকায় দুইজন ব্যাক্তি গাঁজা বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। এবং ডিবি পুলিশের ওই টিম বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে,ঘটনাস্থলে পৌঁছে শামীম রেজা ও সাগরকে গ্রেফতার করে। 


এসময় তাদের কাছ থেকে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেন। এ ব্যাপারে পবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং গ্রেফতারকৃত আসামিদের গতকাল রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।